গণটিকা কার্যক্রম আর হচ্ছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক :
করোনার সংক্রমণ রোধে গণটিকা কার্যক্রম আপাতত আর হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে গণটিকা কার্যক্রম আমরা করছি না, কারণ সেই পরিমাণ টিকা আমাদের হাতে নেই। যে পরিমাণ টিকা হাতে থাকবে সেই পরিমাণ নিবন্ধন করে টিকা দেওয়া হবে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে যখন যতটুকু টিকা আসবে এবং সেই টিকা যতগুলো লোককে দিতে পারব, সেই পরিমাণ লোককেই আমরা ডাকব। যাদের কাছে বার্তা যাবে তারাই আসবেন।’
বর্তমানে দেশে সিনোফার্ম, মডার্না, ফাইজারের টিকার দুই ডোজ দেওয়া হচ্ছে উৎপাদকদের নিয়ম অনুযায়ী এক মাস বা চার সপ্তাহের ব্যবধানে। এই সময় কমিয়ে আনা যায় কি না, প্রধানমন্ত্রী তা দেখতে বলেছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য দেশ ১৫ দিনের মধ্যে দিচ্ছে, টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ বিষয়টিও আমরা দেখব বলে জানিয়েছি।’
কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে টিকার সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
তখন সরকার অন্য উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করে। চীন থেকে জরুরিভাবে সিনোফার্মের টিকা কেনার চুক্তি করা হয়। এখন সিনোফার্মের টিকার পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
কিছু টিকা হাতে পাওয়ার পর মহামারির বিরুদ্ধে সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে গত ৭ অগাস্ট থেকে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে ছয় দিনের গণটিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করে সরকার।
তাতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া মিললেও সরবরাহ কম থাকায় অনেককে টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনারও অভিযোগ আসে।