প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ : ১৬ পুলিশ সদস্যসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক :

ভুয়া ভাউচারে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাগুরায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় পুলিশের চার এসআইসহ ১৬ সদস্য, মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের আট জন, সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার এসআই হাসিনা খাতুন, এসআই মো. সবুর আলম খান, যশোর পুলিশ লাইনের এসআই মো. মাহাবুব আলম, মাগুরা পুলিশ লাইনের অবসরপ্রাপ্ত এসআই মো. সাইফুর ইসলাম ও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত টিএসআই খান মো. আব্দুল হাই, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এএসআই মো. আতিয়ার রহমান ও শাহ আলম গাজী, মাগুরা জেলা পুলিশ লাইনের হিসাবরক্ষক মো. শরিফুজ্জামান, মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ ও ফিন্যান্স কর্মকর্তা জি এম জিল্লুর রহমান, ফিন্যান্স কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও সরকার রফিকুল ইসলাম, একই অফিসের অডিটর মো. আজমল হোসেন, মো. আব্দুল লতিফ মিঞা, রথিন বিশ্বাস, মো. ফজলুর শহিদ ও শেখ আব্দুস সালাম, মাগুরা জেলা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল গাজী মশিউর রহমান, মো. ফিরোজ হোসেন, শিপন মৃধা, মোছা. তাসলিমা খাতুন, হালিমা, অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, মো. আকবর আলী, আবুল কাশেম, নড়াইলের বাসিন্দা আজমল মুন্সি ও মাগুরার বাসিন্দা রোকাইয়া ইয়াসমিন বিচিত্রা। এছাড়া সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার মো. ওয়াজেদ আলীকে আসামি করা হয়েছে।

শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে কথিত জিপিএফ, ল্যাম্প গ্র্যান্ট, ডিপোজিট এগেইনস্ট সারপ্রাইজ অ্যান্ড ওয়ার্ক নামে বিল মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণ না করে ৯ জনের নামে ৮১টি অ্যাকাউন্ট পে চেক ইস্যু করার মাধ্যমে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৩ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।

এছাড়া একই পদ্ধতিতে পরস্পর যোগসাজশে অস্তিত্ববিহীন ছয়টি বিলের মাধ্যমে জেলা পুলিশ মাগুরার ছয় জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. আতিয়ার রহমান, শাহ আলম গাজী, খান মো. আব্দুল হাই, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, মো. আকবর আলী এবং আবুল কাশেম তাদের জিপিএফের প্রাপ্য অর্থের অতিরিক্ত ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৮১৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। এভাবে মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ ১ হাজার ৩৪৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)