দুই ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবে ‘রাজি’ তরুণীর বাবা, লাশ হলেন এক ভাই
শাহার মিয়া ও সাব্বির আহমদ। সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তবে দুজনই এক তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি হয়ে দুই ভাইকে সময় দেন তরুণীর বাবা। তবে এ নিয়ে দেখা দেয় বিরোধ। শেষমেশ শাহারকে মেরেই ফেললেন সাব্বির।
ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুক্রাকান্দি গ্রামে। সাব্বির ও তার বড় ভাইয়ের মারধরের দুদিন পর ১১ আগস্ট মারা যান শাহার। তিনি সুক্রাকান্দি গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শাহার মিয়ার সঙ্গে বিয়ের জন্য পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক মেয়ের বাড়িতে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর পরপরই শাহারের চাচাতো ভাই শোয়েবের জন্য তার বড় ভাই সাব্বির আহমদ ওই মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। মেয়ের বাবা উভয় পক্ষের কাছে কয়েক দিনের সময় নেন। তবে এ নিয়ে চাচাতো ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
শাহারেরর স্বজনদের অভিযোগ, ৮ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে শোয়েবের পরিবারের সদস্যরা সাব্বিরের নেতৃত্বে শোয়েব, জুনেদ, রুহনসহ আরো কয়েকজন শাহারের ঘরে ঢুকে মারধর করেন। পরে শাহারকে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসা শেষে ৯ আগস্ট বাড়ি ফেরেন তিনি। ১১ আগস্ট শাহারের অবস্থার অবনতি হলে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়ার পথে রাত ১০টার দিকে মারা যান।
রাজনগর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত সাব্বিরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।