চুকনগরে পানি নিষ্কাশনের খালের কাদামাটি রাস্তায় ফেলে ৬০ পরিবারের সীমাহীন জনদূর্ভোগ
আব্দুর রশিদ বাচ্চু,খুলনাঃ
ডুমুরিয়ার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগরে পানি নিষ্কাশনের খালের কাদামাটি রাস্তায় রাখাতে জনদূর্ভোগ বেড়েছে। যার ফলে বন্দি দশায় পড়েছে ৬০ পরিবার। এলাকা বাসির দাবি জরুরী ভাবে গোলাম রোডের রাস্তা উপরে রাখা খাল খননের কাঁদা মাটি দ্রুত আপসারনের দাবি জানিয়েছে। সরেজমিনে যেয়ে দেখাযায়, গত রবিবার (১,২,৩ লা আগষ্ট, ২১)থেকে নরনিয়া শোলাকুড় ও হাতিপোতা ডাঙ্গির বিলের জলাবদ্ধ সৃষ্ট পানি নিষ্কাশনের জন্য এলাকার জনগণ সেচ্ছায় টাকা তুলে খাল খননের উদ্যোগ নেন। এবং তাদের সাথে ইউপি একাত্বা প্রকাশ করে খাল খননের সহযোগিতা করেন। খাল খননের পচা মাটি রাস্তার উপরে রাখার কারণে জনদূর্ভোগ পড়েছে গোলাম রোডের ৭০ টি পরিবারের লোক। ১০দিন আগে খালের পচা কাঁদা মাটি কেটে গোলাম রোডের উপরে রাখাহয়। এতে করে এলাকার ৭০টিরও অধিক পরিবার চলাচলের ভোগান্তিতে পড়ে। গোলাম রোডের সাথে আছে মালিহা পাবলিক স্কুল, মডেল মহিলা কলেজের ছাত্র ছাত্র-সহ প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধার চলাচল করে। বর্তমানে রাস্তার উপরে রাখা কাদা মাটি রাখার কারণে ওই এলাকার মনুষের ব্যাপক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। তাদের দাবী দ্রুত রাস্তার পচা কাদামাটি অপসারণ করে দেওয়া হোক। ঘটনা সত্যতা দেখতে স্হানীয় ইউনিয়ন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনামুল হক ঘটনা স্হল পরিদর্শন করেছেন । অপরদিকে ভুক্তবোগীরা বলেছে রাস্তার উপরের মাটি দ্রুত অপসারণের করা হোক । কাদামাটির কারণে সাধারণ জনগনের চলাচলের ব্যাপক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খালের দুই পাশ দিয়ে বসবাসকারী ১শ পরিবার ও মালিহা হক পাবলিক স্কুল, মডেল মহিলা কলেজের শত শত ছেলে মেয়েরা চলাচলে ভাগান্তিতে পড়েছে । গোলাম রোডের এই রাস্তার পলিমাটি রাখার কারণে এক সপ্তাহ যাবৎ অনেকেই গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে।এলাকা বাসির দাবি দ্রুত রাস্তার ওই পচা পলিমাটি আপসারণ করে জনসাধারণের চলাচলের ব্যাবস্হা করতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহ আগে টানা বৃষ্টির পানিতে আটলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ২ বিলে পানিতে তলিয়ে ৫শ পরিবার জলাবদ্ধতায় স্বীকার হয় । এবং আমন ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার পানির চাপে চুকনগর যশোর রোডের পাশে রয়েছে নরনিয়ার শোলাকুড় ও হাতিপোতা ডাঙ্গির বিলে পানিতে তলিয়ে আমণ ধান না হওয়ার আশঙ্খা করা হচ্ছে। বরাবরই এই বিলের পানি নিষ্কাশন হয় বুড়ি ভদ্রা নদীতে। প্রভাবশালী কিছু লোক পানি নিষ্কাশনের খালটি দখল করে নিয়েছে । দেখাযায় পানি নিষ্কাশনের খালের উপর দখলে নিয়ে পাকা ঘরসহ বহুতল ভবন নির্মান করেছে ভোগ দখলে আছে । যে কারণে অত্র এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি উদ্ধার পূর্বক সীমানা নির্ধারণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। স্হানীয় ভুক্তভোগী জনগণ চাঁদা তুলে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্হা করেন। এ ব্যাপারে স্হানীয় চেয়ারম্যান প্রতাপ কুমার রায় বলেছেন আমি ভ্যান গাড়ী পাঠিয়েছিলাম মাটি নরম থাকার কারণে তারা ভ্যানে তুলতে পারিনি। তবে ৪/৫ দিনের মধ্যে রাস্তার মাটি সরিয়ে ফেলার ব্যাবস্হা করব।
Please follow and like us: