পরীমনির ব্যাংকে থাকা একাধিক অ্যাকাউন্টের সবগুলো ‘ফ্রিজ’
বিনোদন ডেস্ক:
বিপুল পরিমাণ মাদকসহ রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন চারদিনের রিমান্ডে আছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও রহস্যময়ী নায়িকা পরীমনি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য দিচ্ছেন এই নায়িকা।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আড়ালে অনৈতিক ব্যবসা করতেন তিনি।মাদক গ্রহণসহ অপরাধ জগতে জড়িত এই নায়িকা।জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনির প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার রয়েল ব্লু রঙের মাসেরাতি বিলাসবহুল গাড়ির বিষয় সামনে আসে।
সূত্র জানায়, পরীমনি বলেছেন- পরীমনি গাড়িটি ব্যাংক লোন বা ক্যাশ টাকা দিয়ে ক্রয় করেননি।একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।ওই সম্পর্কের কারণে তার কাছ থেকে গাড়িটি উপহার পেয়েছেন পরীমনি।ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যানের তথ্যও পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
পরীমনির সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ওই ব্যাংক চেয়ারম্যানের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তিনিও নজরদারিতে রয়েছেন। এছাড়া ওই ব্যাংকে পরীমণির বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেগুলো ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
সেই নারীর নাম-পরিচয় জানতে চাইলে হারুন বলেন, আমরা এ মুহূর্তে নামটি বলতে চাচ্ছি না।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে র্যাব অভিযান শেষে পরীমনিকে আটক করে। আটকের পর তাকে র্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর সেখানেই রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরীমনিকে। বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে পরীমনির বাসায় অভিযানে যায় র্যাব-১ এর সদস্যরা। এ সময় তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি বিষয়টি সবাইকে জানান। তিনি বলেন, অজ্ঞাত বিভিন্ন পোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি বাসার বাইরে থেকে কলিং বেল দিয়ে দরজা খুলতে বলছে। আমি ভয় পাচ্ছি।
তিনি থানা-পুলিশ, ডিবির কর্মকর্তা ও তার পরিচিতদের কাছে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানান। বাইরে থেকে বারবার র্যাব তাদের পরিচয় দিলেও ভেতর থেকে দরজা খুলছিলেন না তিনি। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাসার বারান্দা দিয়ে দেখে বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে ভেতর থেকে দরজা খুলে দেওয়া হয়। এরপর র্যাব সদস্যরা ভেতরে ঢোকেন ও তল্লাশি শুরু করেন। পরে রাত ৮টার দিকে নতুন মাদক এলএসডি, আইস ও বিদেশি মদসহ পরীমনিকে আটক করে র্যাব সদরদফতরে নেয়া হয়।