কাদাকাটি কুল্যা দরগাহপুর ইউনিয়নে মাছের ঘের বীজতলা বাড়িঘর এখনো প্লাবিত
আশাশুনি সংবাদদাতা:
আশাশুনির ৩ ইউনিয়নে হাজার হাজার বিঘা জমির চিংড়ি ঘের, আমন ধানের বীজতলা ও ঘরবাড়ি এখনো প্লাবিত হয়ে আছে। পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন না করায় পয়ঃ নিস্কাশন না হওয়ায় এলাকা প্লাবনের এ পরিণতি বিরাজ করছে।
কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসেত আল হারুন চৌধুরী জানান, কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি, মহাজনপুর, দাঁদপুর, মহিষাডাঙ্গা, আগরদাঁড়ি, বাহাদুরপুর গ্রাম এলাকায় অসংখ্য মাছের ঘের ও আমন ধানের বীজতলা সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়ে আছে। এর একমাত্র কারণ পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালগুলো বেশকিছু দখলদাররা দখল করে রেখে আড়াআড়ি ভাবে মাটির বাধ দিয়ে, নেট পাটা দিয়ে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ করছে। ফলে এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে আছে। এতে চিংড়ি ঘের ও আমন ধানের বীজতলা এখনো তলিয়ে আছে। ফলে কৃষকদের মাথায় হাত উঠে গেছে। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কাদাকাটি ইউনিয়নের কৃষক আমজাদ হোসেন মধু জানান, আমাদের কাদাকাটি ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ ওয়ার্ডের আমন ধানের বীজতলা, মাছের ঘের ও বাড়িঘর সম্পূর্ণ তলিয়ে আছে। সরকারি খালগুলো দখলদারদের দখলে থাকা, খালে আড়াআড়ি মাটির বাধ দেওয়া ও নেটপাটা দিয়ে পানি আটকে রাখা হয়েছে। ফলে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। কৃষকরা কয়েকবার বীজতলা তৈরি করলেও কোনও লাভ হয়নি। বর্তমানে বীজতলা পানিতে তলিয়ে আছে।
কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দীপঙ্কর কুমার সরকার জানান, তার ইউনিয়নের মোকামখালি হতে কাদাকাটি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে গেছে। গেট দিয়ে কোন পানি নিষ্কাশন হয়না। ইউনিয়নের খেজুরডাঙ্গা নদীর পানি গাবতলা গেট দিয়ে নিস্কাশন হয়ে থাকে। কিন্তু গাবতলা গেট দিয়ে বর্তমানে পানি নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। খালগুলোয় অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য চাষের ফলে পানি নিষ্কাশন প্রতিবন্ধকতার সৃাষ্টি হচ্ছে। গত রবিবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে নেট পাটা অপসারণ করেন এবং কয়েক ব্যক্তিকে জরিমানা ও নেটপাটা অপসারণ করেন। তবুও পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা অটুট করা সম্ভব হয়নি। মোকামখালি নদী ও সৈয়দপুর ট্রাস্ট খনন না করা হলে এলাকার মানুষের এভাবে প্লাবিত হতেই থাকবে।