দেবহাটার অস্ত্রধারী ভুমিদস্যু ইসমাইল বাহিনীর দৌড়ঝাঁপ শুরু: গ্রেপ্তারের দাবী
Post Views:
৭৩১
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নোড়ারচক-চারকুনি ভুমিহীন জনপদের অসহায় ৫ শতাধিক পরিবারকে অবৈধ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গোটা ভুমিহীন পল্লীতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা ভুমিদস্যু বাহিনী প্রধান ইসমাইল গাজীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আলোড়ন ও তোলপাড় শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমে ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে নোড়ারচক-চারকুনি ভুমিহীন এলাকা জুড়ে সীমাহীন চাঁদাবাজি, প্রতিবেশির বন্দোবস্তের জমি জবরদখল করে আলিশান বাড়ি নির্মান, অবৈধভাবে সরকারি জমি বেচাকেনা, টাকার বিনিময়ে বাহিনী দিয়ে অন্যের জমি দখল, কথায় কথায় ভুমিহীনদের ওপর হামলা, রাতের আধারে অন্যের মৎস্য ঘের লুট, বিপদগ্রস্তদের কাছ থেকে শালিসের নামে পুলিশ-প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং অবৈধ অস্ত্রের মুখে ভুমিহীন পল্লীর মানুষদের জিম্মি রাখাসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশসহ একাধিক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা গুলো তদন্তে নেমেছে।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর ভুমিদস্যু ইসমাইলের বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে নানা চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। কয়েক বছর আগে সখিপুর মহিলা কলেজের সামনে সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ মহাসড়কের পাশে সরকারি জমিতে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করা অশিক্ষিত ইসমাইলের সংসার চলতো কাঠমিস্ত্রির কাজ করে। সেখান থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর তার তিনভাই ও পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে আশ্রয় নেয় নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঢেপুখালী গ্রামে আরেকটি সরকারি জমিতে। সংসার চালাতে মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতনে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করে মন্টু মিয়ার মৎস্য ঘেরে। এরইমধ্যে ইসমাইল ও তার তিন ভাই মিলে এলাকায় চাঁদাবাজি, ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে অন্যের জমি দখল, মৎস্য ঘের লুটসহ নানা অপকর্ম করে সাধারণ মানুষের কাছে মুর্তিমান আতংকে পরিণত হয়। কিন্তু কিছুদিন পর সেখানেও বসবাস করতে না পেরে পা রাখে ভুমিহীন জনপদ চারকুনিতে। বদিউল্লাহ নামের এক ব্যাক্তির নামে সরকারের বন্দোবস্ত দেয়া জমি জবরদখল করে সেখানে আলীশান বাড়ি নির্মান করে তার অপকর্মের সহযোগী তিন ভাইকে নিয়ে বর্তমানে বসবাস করছে ইসমাইল গাজী।
একের পরে এক ভুমিহীন জনপদের সরকারি খাসজমি অবৈধভাবে হাতবদল ও বেচাকেনা করে কয়েক বছরের ব্যবধানে কাঠমিস্ত্রি থেকে ইসমাইল বনে গেছে ব্যাপক অর্থসম্পদের মালিক। তার রয়েছে ৪০/৫০ জনের একটি বাহিনী। অর্থের বিনিময়ে দিনেরাতে ভুমিহীন পল্লীতে অপরাধের রামরাজত্ব কায়েম করে চলেছে ইসমাইল বাহিনী।
দিনে অবৈধ অস্ত্রের দাপটে আর রাতের আধারে লুটেরাদের দৌরাত্মে গোটা ভুমিহীন পল্লী থাকে ইসমাইল বাহিনীর আতংকে। ফলে নির্যাতনের শিকার হয়েও কেউ সাহস করে ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায়না। কয়েক মাস আগে ভুমিহীন নেতা আব্দুল্যাহ আল মাসুদ ও ইয়াদ আলী এবং যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে প্রকাশ্যে লাঞ্চিত ও হত্যার হুমকি দেয় ইসমাইল বাহিনী। এরপর ভুমিহীন জনপদে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সম্প্রতি ভুমিহীন মাঠের ৪/৫ বিঘা সরকারি জমি অবৈধভাবে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বাহিনী প্রধান ইসমাইল।
কিছুদিন আগে চাঁদপুরের এক বিবাহিত নারীকে জোরপূর্বক দুদিন নিজের বাড়িতে আটকে রাখে ইসমাইল। পরে ওই গৃহবধুর বাবা-,া স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে মেয়েটিকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। শুধু তাই নয়, রোববার দুপুরে কোচিংয়ে যাওয়ার সময় সাংবেড়িয়া গ্রামের দরিদ্র মিজানুরের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে সুমাইয়াকে তুলে নিয়ে যায় ইসমাইল বাহিনীর সদস্যরা। ইসমাইল মেয়েটিকে একদিন নিজ বাড়িতে আটকে রাখার পর জোরপূর্বক স্থানীয় এক বখাটের সাথে বিয়ে পড়িয়ে আত্মগোপনে রেখে দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও ভুমিদস্যু ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে নীরিহ ভুমিহীনদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতনের অসংখ্য তথ্য। তাই সময় থাকতে অস্ত্রধারী ইসমাইলকে গ্রেপ্তারসহ তার বাহিনীকে সমূলে উৎপাটনের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানিয়েছেন অসহায় নির্যাতিত ভুমিহীন জনপদের বাসিন্দারা।
এদিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে প্রশাসন নড়েচড়ে বসায় নিজেদের বাঁচাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে ভুমিদস্যু ইসমাইল বাহিনী। প্রশাসন ও সাংবাদিককে ম্যানেজ করতে মোটা টাকা নিয়ে বিভিন্ন নেতাদের বাড়ি বাড়ি ছুটে বেড়াচ্ছে বাহিনী প্রধান ইসমাইল।
ভুমিদস্যু ইসমাইল বাহিনী প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার বলেন, ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে এধরনের বহু অভিযোগ আসছে। মাস দুয়েক আগে ইসমাইলকে অফিসে ডেকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। ভুমিহীন জনপদের মাঠটি ভরাটের জন্য সরকারি প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু সম্প্রতি আবারো সেই মাঠ থেকে সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসমাইলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িতের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি সে ভুমিহীন পল্লীতে বিদ্যুতায়নের নামে চাঁদাবাজি করে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর ইসমাইলকে থানায় ডেকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমে ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে নোড়ারচক-চারকুনি ভুমিহীন এলাকা জুড়ে সীমাহীন চাঁদাবাজি, প্রতিবেশির বন্দোবস্তের জমি জবরদখল করে আলিশান বাড়ি নির্মান, অবৈধভাবে সরকারি জমি বেচাকেনা, টাকার বিনিময়ে বাহিনী দিয়ে অন্যের জমি দখল, কথায় কথায় ভুমিহীনদের ওপর হামলা, রাতের আধারে অন্যের মৎস্য ঘের লুট, বিপদগ্রস্তদের কাছ থেকে শালিসের নামে পুলিশ-প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং অবৈধ অস্ত্রের মুখে ভুমিহীন পল্লীর মানুষদের জিম্মি রাখাসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশসহ একাধিক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা গুলো তদন্তে নেমেছে।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর ভুমিদস্যু ইসমাইলের বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে নানা চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। কয়েক বছর আগে সখিপুর মহিলা কলেজের সামনে সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ মহাসড়কের পাশে সরকারি জমিতে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করা অশিক্ষিত ইসমাইলের সংসার চলতো কাঠমিস্ত্রির কাজ করে। সেখান থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর তার তিনভাই ও পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে আশ্রয় নেয় নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঢেপুখালী গ্রামে আরেকটি সরকারি জমিতে। সংসার চালাতে মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতনে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করে মন্টু মিয়ার মৎস্য ঘেরে। এরইমধ্যে ইসমাইল ও তার তিন ভাই মিলে এলাকায় চাঁদাবাজি, ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে অন্যের জমি দখল, মৎস্য ঘের লুটসহ নানা অপকর্ম করে সাধারণ মানুষের কাছে মুর্তিমান আতংকে পরিণত হয়। কিন্তু কিছুদিন পর সেখানেও বসবাস করতে না পেরে পা রাখে ভুমিহীন জনপদ চারকুনিতে। বদিউল্লাহ নামের এক ব্যাক্তির নামে সরকারের বন্দোবস্ত দেয়া জমি জবরদখল করে সেখানে আলীশান বাড়ি নির্মান করে তার অপকর্মের সহযোগী তিন ভাইকে নিয়ে বর্তমানে বসবাস করছে ইসমাইল গাজী।
একের পরে এক ভুমিহীন জনপদের সরকারি খাসজমি অবৈধভাবে হাতবদল ও বেচাকেনা করে কয়েক বছরের ব্যবধানে কাঠমিস্ত্রি থেকে ইসমাইল বনে গেছে ব্যাপক অর্থসম্পদের মালিক। তার রয়েছে ৪০/৫০ জনের একটি বাহিনী। অর্থের বিনিময়ে দিনেরাতে ভুমিহীন পল্লীতে অপরাধের রামরাজত্ব কায়েম করে চলেছে ইসমাইল বাহিনী।
দিনে অবৈধ অস্ত্রের দাপটে আর রাতের আধারে লুটেরাদের দৌরাত্মে গোটা ভুমিহীন পল্লী থাকে ইসমাইল বাহিনীর আতংকে। ফলে নির্যাতনের শিকার হয়েও কেউ সাহস করে ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায়না। কয়েক মাস আগে ভুমিহীন নেতা আব্দুল্যাহ আল মাসুদ ও ইয়াদ আলী এবং যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে প্রকাশ্যে লাঞ্চিত ও হত্যার হুমকি দেয় ইসমাইল বাহিনী। এরপর ভুমিহীন জনপদে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সম্প্রতি ভুমিহীন মাঠের ৪/৫ বিঘা সরকারি জমি অবৈধভাবে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বাহিনী প্রধান ইসমাইল।
কিছুদিন আগে চাঁদপুরের এক বিবাহিত নারীকে জোরপূর্বক দুদিন নিজের বাড়িতে আটকে রাখে ইসমাইল। পরে ওই গৃহবধুর বাবা-,া স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে মেয়েটিকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। শুধু তাই নয়, রোববার দুপুরে কোচিংয়ে যাওয়ার সময় সাংবেড়িয়া গ্রামের দরিদ্র মিজানুরের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে সুমাইয়াকে তুলে নিয়ে যায় ইসমাইল বাহিনীর সদস্যরা। ইসমাইল মেয়েটিকে একদিন নিজ বাড়িতে আটকে রাখার পর জোরপূর্বক স্থানীয় এক বখাটের সাথে বিয়ে পড়িয়ে আত্মগোপনে রেখে দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও ভুমিদস্যু ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে নীরিহ ভুমিহীনদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতনের অসংখ্য তথ্য। তাই সময় থাকতে অস্ত্রধারী ইসমাইলকে গ্রেপ্তারসহ তার বাহিনীকে সমূলে উৎপাটনের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানিয়েছেন অসহায় নির্যাতিত ভুমিহীন জনপদের বাসিন্দারা।
এদিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে প্রশাসন নড়েচড়ে বসায় নিজেদের বাঁচাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে ভুমিদস্যু ইসমাইল বাহিনী। প্রশাসন ও সাংবাদিককে ম্যানেজ করতে মোটা টাকা নিয়ে বিভিন্ন নেতাদের বাড়ি বাড়ি ছুটে বেড়াচ্ছে বাহিনী প্রধান ইসমাইল।
ভুমিদস্যু ইসমাইল বাহিনী প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার বলেন, ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে এধরনের বহু অভিযোগ আসছে। মাস দুয়েক আগে ইসমাইলকে অফিসে ডেকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। ভুমিহীন জনপদের মাঠটি ভরাটের জন্য সরকারি প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু সম্প্রতি আবারো সেই মাঠ থেকে সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসমাইলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িতের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি সে ভুমিহীন পল্লীতে বিদ্যুতায়নের নামে চাঁদাবাজি করে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর ইসমাইলকে থানায় ডেকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।