তালেবানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধের’ অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়াগায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে তালেবান যোদ্ধাদের। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকার দখল চলে যাচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির হাতে। কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বুলদাক এমনই একটি এলাকা, যা কয়েকদিন আগে দখলে নেয় তালেবান। পাকিস্তান সমীন্তবর্তী এ এলাকায় ‘বেসামরিক নাগরিক হত্যার’ সঙ্গে তালেবান জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠেছে।
সোমবার আফগানিস্তানের যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য দূতাবাস তালেবানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনে।
এক যৌথ বিবৃতিতে দেশ দুটির দূতাবাসের দাবি, তালেবান স্পিন বুলদাকে ‘বেসামরিক নাগরিক হত্যা’ করছে।
স্পিন বুলদাকে নৃশংসতার বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিশোধ নিতে গিয়ে তালেবান কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ হতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তালেবান নেতাদের তাদের যোদ্ধাদের অপরাধের জন্য দায়ী হতে হবে। আপনি যদি এখন আপনার যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে পরবর্তীতে দেশ শাসন করার অধিকার আপনার থাকবে না।
চলমান সংঘাত বন্ধ করতে টুইটারে এক বিবৃতিতে দেশ দুটির দূতাবাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়।
দেশ দুটির অভিযোগের বিষয়ে তালেবানের আলোচক দলের সদস্য সোহাইল শাহীন বলেন, তালেবানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।
আফগানিস্তানের হিউম্যান রাইটস কমিশন জানিয়েছে, তালেবান স্পিন বুলদাকে বেসামরিক নাগরিক হত্যা করছে।
সংস্থাটির বক্তব্য হলো, স্পিন বুলদাক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে তালেবান সাবেক এবং বর্তমান সরকারি কর্মকর্তাদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করছে, যাদের সংঘাতে কোনো ভূমিকা ছিল না। এমন অন্তত ৪০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে কান্দাহার, হেরাত ও লস্করগাহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র লড়াই চলছে তালেবান ও আফগান যোদ্ধাদের মধ্যে।
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। এর মধ্যে দেশের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি জেলার দখল নিয়েছে তালেবান। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এ অগ্রযাত্রা রুখতে হিমশিম খাচ্ছে আফগান সরকার।