রাতে অসংখ্য তরুণ বাসায় আনতেন মডেল পিয়াসা ও মৌ, চলতো ‘ভয়ঙ্কর গেম’
বিনোদন ডেস্ক:
রাজধানীর বারিধারা থেকে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের আমন্ত্রণ জানিয়ে পরবর্তীতে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা হতিয়ে নিতো। এটাকে তারা একধরনের ‘গেম’ হিসেবেই দেখতেন।
রোববার রাত ১০টায় প্রথমে পিয়াসার বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। এরপর রাত ১টার দিকে মৌকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকেও ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, মডেল পিয়াসা ও মৌ ব্লাকমেইল করা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। ওই চক্রের সদস্যরা রাতের রানী বলেই সংশ্লিষ্টদের কাছে পরিচিত। তারা সারাদিন ঘুমিয়ে কাটাতেন। রাতে বিভিন্ন পার্টিতে গিয়ে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের টার্গেট করে বাসায় ডেকে আনতেন।
বাসায় এনে ওই যুবকদের নানা ধরনের আপত্তিকর ছবি তুলতেন। সেই ছবি বাবা-মা বা পরিবারের সদস্যদের দেখানোর ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন। হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের অর্থ কিংবা নামি-দামিসব পণ্য আদায় করে নিতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তিনি বলেন, আমরা পিয়াসা ও মৌয়ের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল করার অনেকগুলো অভিযোগ তদন্ত করছিলাম। সেই তদন্তের অংশ হিসেবে ফারিয়া ও মৌয়ের বাসায় অভিযান চালানো হয়। তাদের বাসা থেকে বিদেশি মদ ও ইয়াবা পাওয়া গেছে। তাদের ব্ল্যাকমেইলিং করার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় নানা ঘটনায় আলোচনায় আসেন মডেল পিয়াসা। ২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে নাম ছিল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার।
প্রথমে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করেছিলেন পিয়াসা। কিন্তু সেই পিয়াসার বিরুদ্ধেই আবার মামলা তুলে নেয়ার হুমকির অভিযোগে জিডি করেছিলেন ভুক্তভোগী।