ক্ষুধার যন্ত্রণায় আজকেই প্রথম কাউকে কাঁদতে দেখলাম
আব্দুর রহমানঃ
বাড়ি আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা সরকারি কবরস্থানের পাশে। সে এবং তার বিধবা মা এক টুকরা খাসের জমিতে বসবাস করেন। ৪ বছর আগেও আঃ রহমান প্রতিবন্ধী ছিলনা, ঢাকাতে ভালো একটি চাকরিও করতো। একটি দুর্ঘটনা তাকে প্রতিবন্ধী বানিয়ে দিয়েছে। চারটা বছর বিছানায় শুয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে সে।
অসুস্থতার যন্ত্রনা আর ক্ষুধার যন্ত্রণা তাদের তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।
তারপর প্রসাব করাতে হয় নলের সাহায্যে ৪টা বছর এভাবেই চলছে।
সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক বিষয়টি হলো টয়লেটের সময় একটা মানুষ দুইটা পা দিয়ে তার পেটের উপরে দাঁড়িয়ে চাপ দিলে তারপর তার টয়লেট হয়! আমি এমন দৃশ্য আগে কখনো দেখিনি বা শুনিনি।
আর সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল তার মা ১৭ বছর বিধবা অবস্থায় এখনও কোন ভাতার কার্ড পায়নি।
আব্দুর রহমান চার বছর প্রতিবন্ধী অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সেও পাইনি কোন ভাতার কার্ড।
এ কষ্টের শেষ কোথায় ?