তাবিজে গলেনি প্রেমিকার মন, কুপিয়ে মারলেন কবিরাজকে
নিউজ ডেস্ক:
এক মেয়েকে মনেপ্রাণে ভালোবাসতেন এহসান। কিন্তু কিছুতেই মন গলানো যাচ্ছিল না তার। উপায় না পেয়ে ছুটে যান কবিরাজের কাছে। কবিরাজি গুণে যদি গলে মন, তাতেই মিলবে প্রশান্তি।
এহছানের সমস্যা জেনে ডাবপড়া ও তাবিজ দেন কবিরাজ। এক নয়, একাধিকবার ডাবপড়া-তাবিজ দিলেও কাজ হয়নি কিছুতেই। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে কবিরাজ ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর পুলিশের হাতে আটক হয়ে এহসান নিজেই এ তথ্য দেন।
সোমবার সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দাশপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন আরো তিনজন।
নিহত ফাতেমা বেগম ওই এলাকার মোস্তাক আহমেদ সিকদারের স্ত্রী। আহতরা হলেন- ফাতেমার মেয়ে বৃষ্টি, একই এলাকার মো. খোকনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও ইফতেখারের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস।
আটক এহসান একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া এলাকার মেহেরজান বাপের বাড়ির ইব্রাহীমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদফা ডাবপড়া ও তাবিজে কাজ না হওয়ায় সোমবার সকালে ফাতেমার কাছে ছুটে যান এহসান। এ সময় পড়ানো ডাব কাটতে ফাতেমার কাছ থেকে একটি দা চেয়ে নেন। এর ফাঁকে আগের তাবিজে কাজ হয়নি বলায় তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন ফাতেমা। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ফাতেমাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তিনি। এ সময় ফাতেমার মেয়েসহ আরো দুজন এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করেন এহসান।
পরে আহত চারজনকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাঁশখালী থানার ওসি শফিউল কবির বলেন, হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন এহসান। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।