শ্যামনগর নকিপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে ভূমিহীনদের অভিব্যক্তিদের সন্তোষজনক প্রকাশ
আশিকুজ্জামান লিমনঃ
ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মানে মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সকল ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল ভুমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৭০ হাজারের ও বেশি গৃহহীনকে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩শত চল্লিশটি ভূমিহীন পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্রয়ন প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্ন অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, ঋণপ্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা, আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ।
ইতিমধ্য এর সুফল পেতে শুরু করেছেন
শ্যামনগর নকিপুরে ঘর পাওয়া ভূমিহীন ১০ টি পরিবার। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপকার ভোগী ১০ টি পরিবার শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে প্রাপ্ত ঘর পেয়ে নতুন ভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। ঘর গুলোর নির্মান কাঠামো সম্পর্কে তাদের অভিব্যক্তি ছিলো সন্তোষ জনক।
উপকার ভোগী শরিফুল ইসলাম বলেন আমরা ভূমিহীন মানুষ হিসাবে মানতবতার জীবন যাপন করছিলাম। এমন মুহুত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমি সহ আমাদেরকে ঘর উপহার দিয়ে আমাদের জিবনে আশার আলো জাগিয়েছেন। ঘর গুলা পাকা ও টেকশই হওয়ায় দূর্যোগ কালীন সময়েও আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। ঘর গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া করতে পারছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনান কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমরা তার জন্য আজিবন দোয়া করবো।
আশ্রয় প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ,ন,ম আবুজার গিফারী বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর আমরা শ্যামনগর উপজেলার ভূমিহীন ৩৬০ পরিবারের মধ্যে গৃহপ্রদানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ইতি মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে ২৯০ টি ঘর। ঘর গুলা যাতে টেকশই ও মজবুত হয় সে বিষয় আমরা প্রতিনিয়ত পর্যাবেক্ষন করেছি। আমরা আশা করি ঘর গুলা পেয়ে ভূমিহীন দরিদ্র পরিবার গুলা অনেক বেশি উপকৃত হবেন। এবং আয়বর্ধন মুলক নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের জিবনে সচ্ছলতা আসবে।
Please follow and like us: