লবণ ও লেবুর রস দিয়ে কোরবানির মাংস সংরক্ষণ পদ্ধতি
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
কিছুদিন পরেই কোরবানির ঈদ। এই ঈদে কোরবানির মাংস সামলানো নিয়ে কমবেশি সবাই ঝামেলায় পড়েন। কারণ মাংসের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এর সংরক্ষণ নিয়ে একটু ঝামেলা সবাইকেই পোহাতে হয়। আর যাদের বাসায় ফ্রিজ নাই তারা মাংস সংরক্ষণ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। আবার অনেকের বাসায় ফ্রিজ থাকলেও জায়গা স্বল্পতার কারণে মাংস সংরক্ষণ নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েন।
তবে কিছু পদ্ধতি জানা থাকলে কোরবানির মাংস ফ্রিজ ছাড়াই সংরক্ষণ করতে পারবেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোরবানির মাংস সংরক্ষণের কিছু সহজ ও কার্যকরী উপায় সম্পর্কে-
ফ্রিজে সংরক্ষণ
কোরবানির মাংস ছোট ছোট করে কেটে পরিমাণমতো আলাদা আলাদা বক্স কিংবা প্যাকেটে ভরে ভালো করে বেঁধে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। এতে মাংস দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। তবে একসঙ্গে অনেকখানি মাংস রাখবেন না। এতে মাংস বরফ হতে সময় লাগে আর এর স্বাদ নষ্ট হওয়ারও ভয় থাকে।
রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ
মাংস লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। এরপর এতে লবণ হলুদ মেখে রোদে শুকিয়ে রাখুন। দেখবেন মাংস অনেক দিন ভালো থাকবে। মাংস শুকিয়ে ফেলার ফলে মাংসে কোনো পানি থাকে না। তাই মাংস দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। রোদে শুকানো মাংস রান্নার আগে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে মাংস নরম হবে।
মাংস ভেজে সংরক্ষণ
মাংস ভেজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। মাংসে লবণ আর হলুদ মিশিয়ে ডুবো তেলে ভেজে সংরক্ষণ করতে পারেন। এতে মাংস নষ্ট হবে না। অনেকেদিন ভালো থাকবে।
জ্বাল দিয়ে সংরক্ষণ
মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিমাণ মতো হলুদ, লবণ মাখিয়ে পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। এই মাংস দিনে অন্তত দুবার জ্বাল দিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। এভাবে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলে মাংস অনেকদিন ভালো থাকে। কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিন মাংস ভালো রাখতে পারবেন।
লবণ ও লেবুর রস
লবণ ও লেবু রস মাখিয়ে গরুর মাংস সংরক্ষণ করতে পারেন। মাংসের বড় বড় টুকরা ও কুচি মাংস কিমা করে আপনি তা সংরক্ষণ করতে পারেন।
কোরবানির মাংসগুলো সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করুন। আর আপনার নিজের অংশের মাংসগুলো উপরের পদ্ধতিতে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে অনেক দিন বেশ ভালোভাবেই তা খেতে পারবেন।