কালের আবর্তনে গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের এই তালগাছ
আঃজলিলঃ
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশ বান্ধব তালগাছ।গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে তালগাছের ডালে ডালে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা ছিল। এতে অসংখ্য বাবুই পাখি বসবাস করত। দল বেঁধে উড়ন্ত বাবুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত ছিল গ্রাম বাংলার জনপদ।
তাল পাতা দিয়ে ঘর ছাওয়া, হাতপাখা, তালপাতার চাটাই, মাদুর, , লেখবার পুঁথি, পুতুল ইত্যাদি বহুবিধ সামগ্রী তৈরি হয়। এমনকি তালের কাট দিয়ে বাড়ি, নৌকা, হাউস বোট ইত্যাদি তৈরি হয়। কিন্তু কালের আবর্তে গ্রামাঞ্চল থেকে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের এ তালগাছ, কিন্তু বর্তমানে নেই তাল গাছ, নেই বাবুই পাখি। বন খেকোদের হাতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তালগাছ।
আমাদের দেশের পরিবেশ বান্ধব এই তাল গাছ আজ বিলুপ্ত প্রায়।তালের ফল এবং বীজ দুই-ই বাঙালির জন্য সুস্বাধু খাদ্য। তাল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তা থেকে গুড়, পাটালি, মিছরি, ইত্যাদি তৈরি হয়। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান।
বেনাপোল বন্দর প্রেস ক্লাবের সাঃসম্পাদক সময় টিভি ও বার্তা ২৪.কমের সিঃ সাংবাদিক আজিজুল হক জানান, তাল গাছ প্রকৃতির বন্ধু ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাকারী বৃক্ষ। এ গাছ প্রবল ঝড় বৃষ্টি ও আকাশের বিজলী থেকে মানুষ ও প্রাণী জগতকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। ফলে যেসব এলাকায় তাল গাছের সংখ্যা বেশি সেসব এলাকায় ঝড়ে ওআকাশের ঘনগটা মেঘের বজ্র ঘেষা বিজলীতে মানুষ ও পশু পাখির মৃত্যুর হার খুব কম।
তিনি আরো বলেন, প্রকৃতির জীব বৈচিত্র রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন গুলি বাড়ির আঙিনার পাশে, রাস্তার ধারে ব্যাপকভাবে তাল গাছ রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে নিজেকে ও এলাকাকে রক্ষার জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও তাল গাছ রোপণের আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার্থে জরুরি ভিত্তিতে তাল গাছ রোপণের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।