আশাশুনিতে লকডাউনের ৪র্থ দিনে কঠোর তৎপরতা
জি এম মুজিবুর রহমানঃ
করোনা ভাইরাস ২য় ঢেউ এর ব্যাপক সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ৪র্থ দিনে আশাশুনিতে প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ফলে পূর্বের তুলনায় বিধিনিষেধ মানার ব্যাপারে অগ্রগতি হলেও লুকিয়ে দোকান খোলা ও
সড়কে মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। রবিবার (৪জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ চিত্র দেখা গেছে।
রবিবার সকাল থেকে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের ব্যারিগেড দিয়ে সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে। আনসার ভিডিপি সদস্যরাও একই সাথে মাঠে নেমে কাজ করেছে। উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সমন্বিত ভাবে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছেন। ওসি গোলাম কবিরের
নেতৃত্বে পুলিশের অভিযানও চলেছে। যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচাল রোধ, অন্যান্য বাহনের অহেতুক চলাচাল নিয়ন্ত্রণ, খুবই প্রয়োজন ব্যতীত মানুষের বাইরে বের হওয়া রোধ এবং দোকান পাট খোলা রাখার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপরতা চালান হয়। বিধিনিষেধ অমান্যের জন্য
কাউকে গ্রেফতারের খবর না পাওয়া গেলেও জরিমানা করা হয়েছে অনেককে। এরপরও কোন কোন বাজারে বা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নির্দেশ অমান্য করে কিছু কিছু দোকান খুলে রাখা, মানুষের চলাচাল বা আড্ডা দেওয়ার ঘটনা চোখে
পড়েছে। প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি ও কঠোরতার ভয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি থাকলেও কিছু কিছু মানুষকে মাস্ক ব্যবহার না করতে দেখা গেছে।
উপজেলার অধিকাংশ বাজারে মানুষের উপস্থিতি পূর্বের তুলনায় কমলেও এখনো উদ্বেগজনক রয়েছে। বিকালেও কিছু কিছু দোকান ও চা স্টল খুলতে দেখা গেছে। প্রশাসন ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টহল থাকলেও গাড়ির শব্দ শোনার সাথে সাথে দোকানের শার্টার/দরজা বন্দ
করে লুকিয়ে পড়ে দোকানিরা। গাড়ি চলে যাওয়ার পরপরই পুনরায় দোকান খুলতে দেখা গেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি বেশী ছিল, তবে বিকালে মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও উদ্বেগজনক ছিল।
এব্যাপারে প্রশাসনের পাশাপাশি স্ব-স্ব এলাকার জন
প্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ, বাজার কমিটির সদস্যদেরকে কাজে লাগানো যায় কিনা ভেবে দেখতে সচেতন মহল অনুরোধ জানিয়েছেন।