বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী পাকিস্তান
স্পোর্টস ডেস্ক:
আইসিসির ২০২৪-২০৩১ চক্রে এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। এককভাবে আট দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের কথাও বলেছিলেন তিনি।
১৫ জুনের বোর্ড সভা শেষে নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ছেলেদের বিশ্বকাপের অন্তত ১০টি ভেন্যু থাকতে হয়। সেটা এখন বাংলাদেশের জন্য কঠিন। এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন বাংলাদেশের জন্য আপাতত সম্ভব নয়। তাই আমরা যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কম ভেন্যু লাগে। এটা এককভাবে আয়োজনের ক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। আমরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য আলাদাভাবে বিড করব। আর বিশ্বকাপের জন্য যৌথভাবে এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে মিলে বিড করব।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) একই কৌশলে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হওয়ার চেষ্টা করছে। শুক্রবার পিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২৭ ও ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে সহ-আয়োজক হিসেবে চায় পিসিবি। এছাড়া ২০২৫ ও ২০২৯ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তান একাই আয়োজন করতে চায়। ২০২৬ ও ২০২৮ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আয়োজনের ইচ্ছা দেশটির।
পিসিবির দাবি, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য তাদের যথেষ্ট ভেন্যু রয়েছে। করাচি, লাহোর, মুলতান ও রাওয়ালপিন্ডি তো আছেই। পেশোয়ারও নাকি দ্রুতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কেন্দ্রে পরিণত হবে। তাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিজের মাটিতে আয়োজনে বেশ আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দরকার আট ভেন্যু। তাই সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সঙ্গে নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় পাকিস্তান।
পিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইসিসি এখন পিসিবি ও অন্যান্য দেশের আবেদন বিবেচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। পিসিবি আশা করছে, অন্তত একটি আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবে, যা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা হবে।
পাকিস্তান সর্বশেষ বিশ্বকাপ আয়োজন করে ১৯৯৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপেও আয়োজক দেশ ছিল পাকিস্তান। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো পায় বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা।