‘আলাউদ্দিনকে না এনে দিলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করবো’
নিউজ ডেস্ক:
নোয়খালীর সুবর্ণচরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে অনশন করেছে এক কিশোরী প্রেমিকা। তবে এ ঘটনার সময় পলাতক ছিলেক প্রেমিক আলাউদ্দিন।
রোববার (২৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ৩ নম্বর চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উরিরচর গ্রামের নুর ইসলামের বাড়িতে অনশন করে কিশোরী। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শত শত এলাকাবাসী ভিড় করেন প্রেমিক আলাউদ্দিনের বাড়িতে।
অভিযুক্ত প্রেমিক আলাউদ্দিন উপজেলার ৩ নম্বর চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উরিরচর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
কিশোরীর অভিযোগ, ২০১৮ সালের শেষের দিকে আলাউদ্দিন চাঁদপুর হাজিগঞ্জের মোহাম্মদপুর গ্রামে তাদের পাশের বাড়িতে টিউবয়েল বসানোর কাজ করে। ওই বাড়িতে প্রাইভেট পড়ার সুবাধে আলাউদ্দিন প্রায় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। পরে দীর্ঘদিন ফোনে কথা বলার পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদপুরের কয়েকটি হোটেলে নিয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। এখন আলাউদ্দিনের বাবা-মা তাকে মেনে নিতে রাজি নয়। পরে আমার বাবাসহ ৩ নম্বর চরক্লার্ক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করলে ছেলে লুকিয়ে থাকায় চেয়ারম্যান ছেলেকে হাজির করবে মর্তে উভয়পক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা নেন এবং ১ মাসের সময় নেন।
গত ২০ জুন আমি জানতে পারি আলাউদ্দিনের সঙ্গে তার খালাতো বোনের বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। পরে আমি আলাউদ্দিনের বাড়িতে এসে অবস্থান নিলে তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে গালমন্দ করে বের করে দেয়। আলাউদ্দিন তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ করে দেয়। উপায়ান্তর না দেখে রোববার সকালে তার বাড়িতে অবস্থান নিই। আলাউদ্দিনকে তার পরিবার লুকিয়ে রেখেছে। তারা যদি আলাউদ্দিনকে এনে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না করে তাহলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করবো।
চরজব্বার থানার ওসি জিয়াউল হক তরিক খন্দকার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।