সাতক্ষীরায় একদিনে করোনা উপসর্গ ও করোনায় ৮ জনের মৃত্যু:সংক্রমণের হার ৩৪.৫২ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় তৃতীয় দফার সাত দিনের লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনেও করোনা সংক্রমণের হার একটু কমেছে।তবে বাড়ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। সর্বশেষ ফলাফলে গত ২৪ ঘন্টায় ১৬৮ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় ৫৮ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় হার ৩৪.৫২ শতাংশ।এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ১শ ২৪ জন।বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা পজেটিভ রুগীর সংখ্যা ৮ শ ৮৭জন।
এদের মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৬২ জন এদের মধ্যে ২৩ জনের করোনা পজেটিভ। ৪ জন আইসিইউ তে আছে। সাতক্ষীরার বেসরকারি হাসপাতাল সমূহে ভর্তি ১২৯ জনের মধ্যে ২০ জন পজেটিভ।আর বাকিরা তাদের নিজ বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২শ ৮৮ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ জন । জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্য বরণ করেছে ৬৩ জন।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের তৃতীয় দফা ঘোষিত লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন চলছে।তবে লকডাউন চলছে ঢিলেঢালা ভাবে।জেলাপ্রশাসন থেকে বিভিন্ন স্থানে লকডাউনে সচেতনতা মূলক প্রচার ও জরিমানা করলেও মানুষের মধ্যে কোন সচেতনতা নেই।শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট পুলিশের চেক পোষ্ট বসালেও মানুষের যাতায়াত ছিলো স্বাভাবিক। লকডাউন কার্যকর করতে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটিকেও সক্রিয় করা করার কথা হলে ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কোথাও দেখা যায়নি।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী পিন্টু মন্ডল বলেন,দূরপাল্লার গাড়ী ছাড়া সব কিছু চলছে স্বাভাবিক নিয়মে।মানুষ কোনভাবেই ঘরমুখি হচ্ছে না। কোন নিয়ম কানন মানছে না।
জেলা সিভিল সার্জন ডা:হুসাইন শাফায়াত বলেন,সাতক্ষীরার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতাল ঘোষণা করা হয়েছে।তবে হাসপাতালে রুগীর চাপ থাকায় ছিট সংকটে পড়েছে।রয়েছে জনবল সংকট।মানুষকে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আহবান জানান।
জেলা পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে ৬শ গাড়িকে ২৫ লাক্ষ টাকার ও বেশি জরিমানা করা হয়েছে।লকডাউনের ক্ষে্েএ পুলিশ আরো কঠোর অবস্থানে থাকবে।