সাতক্ষীরা আমাকে সমৃদ্ধ করেছে, আমার মেধা, জ্ঞান, সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি-বিদায়ী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরার বিদায়ী জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি এস এম মোস্তফা কামাল বলেছেন, সাতক্ষীরা আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। আমার মেধা আমার মেধা, জ্ঞান, সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক হিসেবে। এজন্য সাতক্ষীরাকে ককনও ভোলা যাবেনা। অনেক প্রতিকুলতাকে পাশে ফেলে সাতক্ষীরায় আমার কর্মকালকে পুরোটা কাজে লাগানোর চেষ্ঠা করেছি। একটি দিনও নষ্ট। সাতক্ষীরার সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে কখনও কখনও কঠোর হয়েছি।
এজন্য কিছু ব্যক্তি বা গোষ্টি আমাকে নিয়ে নানা সমালোচনা করেছে। আমি সেগুলিকে পাত্তা না দিয়ে আমার লক্ষে আমি কাজ করেছি। রোববার বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরার অপরুপ সৌদর্যের লীলাভুমি। এখানকার ৩২ মাসের কর্মজীবন আমার জীবনের স্মরনীয় সময়। এখানকার বৃষ্টি, শীত, গৃষ্ম, শরৎ আমার শরীরে মেখে গিয়েছে। মহিত করেছে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ। সাতক্ষীরার মাছ, হিমসাগর আম, কুল এগুলিকে কখনও ভুলতে পারবো না। সুন্দরবনের অপরুপ সৌদর্য্য আমার হৃদয় ছুঁয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে প্রগতিশীল চেতনা ও মননশীলতা জাগ্রত করতে জেলায় চারটি বই মেলা, সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা, স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে কবিতা চর্চাসহ নানামূখী কর্মসুচি বাস্তবায়ন পালন করেছি। সাতক্ষীরার গনশুনানী দেশের মধ্যে সাতক্ষীরাকে অনন্যউচ্চতায় নিয়ে গেছে। এখান থেকে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তানজিল্লুুর রহমান, এনডিসি মো. আজহার আলী, নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো. যুবায়ের হোসেন, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ও মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, সহকারি সম্পাদক হাফিজুল আল-মাহমুদ রিটু, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্জ আব্দুল হামিদ, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্জ আব্দুল খালেক, ডা. মিজানুর রহমান, আলহাজ্জ ডা. একরামুল হক, জুলফিকার হায়দার সাগর, ফজর আলী, আজহারুল ইসলাম পুটু, আহাজউদ্দীন সুমন প্রমূখ।
বিদায়ী জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরাকে তার দ্বিতীয় মাতৃভুমি উল্লেখ করে বলেন, বাকী জীবন যতদিন বাঁচবো শরীর সুস্থ থাকলে প্রতিবছর একবার খানবাহাদুর আহছানউল্লা’র স্মৃতি বিজড়িত নলতা ওরছ শরীফে থেকে ঘুরে যাবো। সাতক্ষীরায় কর্মকালীন সময়ে তার পিতাকে হারিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আব্বা বেঁচে থাকলে আমার বিদায় অনুষ্ঠানে আজ পাশে থাকতেন’। তিনি বলেন সাতক্ষীরার মানুষের জন্য আমার দুয়ার আজীবন উন্মুক্ত থাকবে। সাতক্ষীরার যে কোনো ভাল কাজে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।