দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাসহ বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি মন্ত্রিসভায় অনুসমর্থন ও অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১৩তম অধিবেশনে (২০২১ সালের বাজেট অধিবেশন) এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের পাশাপাশি দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে আবিষ্কারক দেশের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে (জি২জি) আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম তিনটি প্রতিষ্ঠানের (ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে। ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছে গ্লোব বায়োটিক লিমিটেড। তাদের উৎপাদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটি ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জুলাই ও আগস্ট মাসের মধ্যেই চীন থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা আনার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইসও) কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহের কাজ চলমান। গত ৩১ মে ফাইজার ভ্যাকসিনের ১ লাখ ৬২০ ডোজ পাওয়া গেছে।