ভালো নেই সাতক্ষীরার পত্রিকা পরিবেশকরা
নিজস্ব প্রতিনিধি :
প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে মানুষের দোয়ারে দোয়ারে পত্রিকা পৌছে দিচ্ছেন। সরকারি ছুটির দিন ব্যাতিত কোন দিন তাদের ছুটি নেই। মানুষের ঘুম ভাঙ্গার আগে উঠে সাইকেল নিয়ে শহরের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌছে দেন পত্রিকার। সেই পত্রিকা পরিবেশকরা রয়েছেন নিদারুন কষ্টে। তবুও বিরাম নেই। প্রতিদিনের দায়িত্ব পালন করে যান তারা। বর্তমানে করোনা মহামারিতে পত্রিকার পাঠক কমে যাওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান, সাতক্ষীরা সংবাদপত্র পরিবেশক কর্মীরা।
তারা জানান, করোনার মহামারির কারণে বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলো পত্রিকা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি বিধি নিষেধ মেনে খোলা থাকরেও তারা আগের মত পত্রিকা নিতে রাজি হন না। ব্যবসায়ীরা ও দোকানপাটেও আর পত্রিকা নিতে চায় না। কমে গেছে পত্রিকা বিক্রি।
সাতক্ষীরা সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি সাবান আলী সহ অনেক পত্রিকা পরিবেশককরা জানান, পত্রিকা বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায় ৩০ বছর ধরে এ পেশায় আছি। কিন্তু আমাদের কখনো আমাদের খবর নেয় না।
পত্রিকা ডিস্ট্রিবিউটর মফিজুল বলেন, ম্যাসে থেকে পড়াশোনা করছি। কিন্তু এখন খুব কষ্টে আছি।
কামারুল, মোকবুল, আক্তারুল জানান, আমাদের নিয়ে পত্রিকায় লিখে আর কি হবে। আমাদের দু:খ কষ্ট নিবারন হবে না। সরকারি-বেসরকারি কোন সহযোগিতা পাইনা।
আলাউদ্দিন বলেন, এ বছর ঈদের সময় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু আমাদের ৪০ জন পত্রিকা পরিবেশকদের আর্থিক সহযোগিতা করেছিলেন। এছাড়া কেউ আমাদের পাশে আসেনি। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পত্রিকা মালিকরা একটু সুদৃষ্টি দিলে হয়তো আমাদের জীবন মান কিছুটা স্বাভাবিক হতো। তিনি পত্রিকা পরিবেশকদের জন্য সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
০১.০৬.২০২১