শার্শায় বাগুরিতে আমের দাম ভালো পেয়ে মহাখুশি আম চাষিরা
মো.সাগর হোসেন,বেনাপোল :
যশোরের শার্শার বাগুরিতে জমজমাট আমের বাজার দাম ভালো পেয়ে মহাখুশি আম চাষিরা। শার্শার আম এখন বিদেশেও যাচ্ছে।
শার্শা উপজেলার হাট বাজারে এখন রকমারি আমের সমারোহ। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ কাঁচাপাকা আম আসছে এই বাজারে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারিরা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে এসকল আম। তবে গত বছরের তুলনায় এবার আমের ফলন কম হলেও দর ভালো পাওয়ায় খুশি এলাকার আম চাষীরা। যশোরে শার্শা আমের বড়বাজার বাগুড়ি সহ অন্য হাটবাজারে এখন আম আর আম পাকা আমের মিষ্টি গন্ধে মাতোয়ারা সবাই হিমসাগর, ল্যাংড়া, লখনা সহ বাহারি আমের সুস্বাদু আমের বেচাকেনা চলছে।
বর্তমানে ৮০০ থেকে ২৪০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে এইসব আম। অথচ গত বছরে এসব আম বিক্রি হয়েছিল মাত্র ২ হাজার টাকা থেকে ২২০০ টাকা মরে দরে গেল মৌসুমে আম্ফান ঝড়ে জেলার চাষিরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছিল তবে এবার দর ভালো পেয়ে তারা খুশি।
শার্শার আম ব্যবসায়ী হাবুবুর জানান, ঈদের পর থেকে জমজমাট শার্শার আম বাজার গুলো। এর মধ্যে শেষ হয়ে গেছে গোবিন্দভোগ, বোম্বায়, গোপালভোগ জাতের আমের সরবরাহ। বাজার এখন হিমসাগর ল্যাংড়া আমের দখলে আমের রাজা ল্যাংড়া বাজারে আসতে শুরু করেছে। তারপর বাজারে মাতাবে রুপালি, মল্লিকা আম। যশোরের আম সুমিষ্ট হওয়ায় দেশের অন্যান্য জেলা এ আমের বিশেষ চাহিদা রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পায়কারি ব্যবসায়িরা আম কেনার জন্য। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ আম বেচাকেনা হচ্ছে এবং এখান থেকে বিভিন্ন জেলায় চালান যাচ্ছে। কাইবা মহিসা এলাকায় আমচাষি আজিজুর রহমান জানান এই বছরে অবস্থা তুলনামূলক ভালো। কারণ গত বছর দেখা গেছে যে আমের দড় ১২০০ টাকা ছিল সে আমের দাম এই বছরে ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা।
বেনাপোল বাজারের আম ব্যাবসায়ী মুকুল হোসেন বলেন, বাজারের অবস্থা ভালো বর্তমানে প্রতি মণ হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ল্যাংড়া বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা বোম্বাই ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা বাজার মোটামুটি ভালো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা আমের পাইকারি ক্রেতা রুবেল বলেন, আমি ঢাকা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যবসা করি এখান থেকে আম নিয়ে যায় তবে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় আমের দাম বেশি। এখানকার আম ভালো বলে আমরা প্রতিবারই যশোরে শার্শা বাগুরী থেকে আম কিনে নিয়ে যাই।
শার্শার কৃষি অফিসার শৌতম কুমার শীল জানান, গতবছর আম্পানের ঝড়ে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এ বছর ভালো দাম পাওয়ায় আগামী বছর চাষিরা বেশি আম উৎপাদনে আগ্রহী হবে এবং ফলনও বাড়বে তিনি জানান চলতি বছর যশোর শার্শা উপজেলার ৬৬০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে।