কালিগঞ্জে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার এক
থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে সকালে ওই যুবতী সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার এক আত্মীয়কে দেখতে যায়। বিকেলে বাসযোগে বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা হওয়ায় কালিগঞ্জ টার্মিনালে নেমে সে তার পরিচিত শামীম নামে একজনকে ফোন দেয়। এ সময় শামীমের ফোন বন্ধ থাকায় ওই যুবতী উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে শামীমের বাড়িতে যায়। সেখানে কাউকে না পেয়ে ফিরে আসার পথিমথ্যে নাজিমগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছুলে ওই যুবতীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি। ওই যুবতী ঘটনার বিবরণ দিলে স্থানীয়রা বাপ্পিকে মোটরসাইকেল যোগে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত বাপ্পি ওই যুবতীকে বাড়িতে পৌঁছে না দিয়ে বাপ্পির বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর তার শয়নকক্ষের মধ্যে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ঐ যুবতীর ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে বাপ্পি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। উপায়ন্ত না পেয়ে ওই যুবতী কালিগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
আজ শনিবার সকালের দিকে থানার উপ-পরিদর্শক তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলির্শ নাজিমগঞ্জ এলাকা থেকে আসামি বাপ্পিকে গ্রেফতার করে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণ মামলায় আসামি বাপ্পিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।