সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহ আলম গ্রেফতার
আসাদুজ্জামানঃ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম।
আজ রোববার দুপুরে মেহেদিবাগের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সকালে শাহ্ আলমসহ পাঁচ আইনজীবীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলাটি করেন শিক্ষানবীশ আইনজীবি
লিয়াকত হোসেন। এছাড়া ২৭ এপ্রিল কটুক্তি করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একই আইনে আরও একটি মামলা করেন পিপি এড. আব্দুল লতিফ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, অ্যাড. শাহ আলম ও তার চার সহযোগী আইনজীবী শিক্ষণবীশ
আইনজীবীর গলায় কুরুচিপূর্ণ লেখা জোর করে ঝুলিয়ে দেন এবং তার ছবি ধারণ করে
ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (৫),অ্যাড,
তারিক ইকবাল তপু, অ্যাড. শাহেদুজ্জামান শাহেদ, অ্যাড. ফুয়াদ হাবিব টিটো।
মামলায় এড. লিয়াকত হোসেন উল্লেখ করেন, তিনি এলএলবি পাস করার পর বাংলাদেশ বার
কাউন্সিলের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। সাবেক সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ তাকে শিক্ষানবীশ আইনজীবি হিসাবে একটি কার্ড দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অথচ ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর সে সময়কার আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম তাকে তার চেম্বারে ডেকে নেন। পরক্ষণেই দরজা বন্ধ করে মারপিট করে গলায়, ‘আমি আইনজীবি নই, আমি টাউট’ প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ছবি তুলেন। পরে তার নিজের
ফেসবুক আইডিতে ছেড়ে দেন। এতে তার সম্মানহানি এবং মর্যাদাহানি হয়েছে।
তিনি এর বিচার দাবি করেন। এর আগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানি চলাকালে পিপি সম্পর্কে কট‚ক্তি করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা হয়।
মামলার অভিযোগ ছিল, গত ২৬ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আশাশুনি থানার একটি ধর্ষণ মামলার শুনানী চলছিল। এসময় আসামীর জামিন শুনানীকালে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে জামিনের বিরোধিতা করেন পিপি আব্দুল লতিফ।
জামিনের বিরোধিতা করায় আসামীপক্ষের আইনজীবী এম শাহ আলম পিপি আব্দুল লতিফকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করেন। ওই ঘটনার পরদিন রাতে সাতক্ষীরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ্যাড. এম শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন পিপি আব্দুল লতিফ।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ডিজিটাল নিরাপত্তা
আইনে অ্যাড. শাহ আলমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন,শাহ্
আলমকে বিকেলেই আদালতে তোলা হবে।