এক বছর প্রেমের পর স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ইউপি সচিবের বাড়িতে স্কুলশিক্ষিকা
নিউজ ডেস্ক:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় এক ইউপি সচিবের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে দুই দিন থেকে অবস্থান নিয়েছেন এক স্কুলশিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নে ইসলামপুর গ্রামে।
শনিবার (৮ মে) দুপুর থেকে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান করছেন শিক্ষিকা সেলিনা পারভীন। এদিকে স্ত্রীর দাবিতে বাড়িতে ওঠার খবরে বাড়ি পালিয়েছেন অভিযুক্ত সচিব আতাউর রহমান।
ইসলামপুর গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে কচাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব দুই সন্তানের জনক আতাউর রহমান (৩৮)। আর সেলিনা পারভীন কচাকাটা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও কচাকাটা ডিগ্রি কলেজ মোড়ের বাসিন্দা স্বামী-পরিত্যক্তা দুই সন্তানের জননী।
সেলীনা পারভীন জানান, প্রায় এক বছর হলো ওই সচিবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে তাদের মাঝে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ১৮ মার্চ তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েক দিন তাদের সম্পর্ক ভালো থাকলেও বিয়ের স্বীকৃতি চাওয়ার পর থেকে আতাউর তাকে এড়িয়ে চলছেন। এ বিষয়ে গেল শুক্রবার কচাকাটা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান সেলিনা।
কচকাটা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে জানান, শনিবার সকালে সেলিনা ম্যাডাম আতাউরের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা দাবি করেন। তবে তার দাবি কতটা সত্য, সেটা বলতে পারব না।
অভিযুক্ত আতাউর রহমানের স্ত্রী মাসুদা পারভীন জানান, সেলিনা পারভীন অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে উঠেছেন। তিনি বিয়ের কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। আমার স্বামীকে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং অর্থের লোভে তিনি (সেলিনা) এ কাজটি করেছেন।
কচাকাটা থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুব আলম জানান, সেলিনা পারভীন ইউপি সচিব আতাউরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়নি। শুনেছি তিনি আতাউরের বাড়িতে উঠেছেন।
এদিকে আতাউরের স্ত্রী মাসুদা পারভীনও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি।