খালেদার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্রে
নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত দেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ মতামত পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, আজ সকালের মধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠাব।
এদিকে আক্রান্ত হওয়ার ২৭ দিন পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া করোনাভাইরাস মুক্ত হয়েছেন। তার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসক দলের একজন সদস্য জানান, এ নিয়ে মোট তিনবার খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
গত ৫ মে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় আবেদনটি দিয়ে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। এরপর সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ওইদিন রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ডাক্তাররা অভিমত দিয়েছেন তাকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন। যদিও আমরা ডাক্তারদের কাছে শুনিনি।
আবেদনটি ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনে যে পর্যায়ে আছে, কীভাবে কী করা যেতে পারে সেজন্য আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ করে দিয়েছেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে খুবই মানবিক।
এর আগে, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
গত ৩ মে সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে, বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার। ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর তিন মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। এরপর খালেদা জিয়া আর কোনো দেশে যাননি।