কালিগঞ্জে দুই ডজন শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
শিশু ধর্ষণ যেন তার নেশা । আরবি শিক্ষা দেওয়ার নামে অনেক শিশু হয়েছে তার লালসার শিকার।
৬-৯ বছরের ২১ জন ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর অন্তরালে করেছে এমনই জঘন্যতম কাজ।
এই ঘৃণীত কাজের জন্য তাকে পেতে হয়নি কোন প্রকার শাস্তি। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটিয়েছে
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের আক্তারুজ্জামান তুহিন।
সে স্থানীয় তালিমুল কুরআন নুরানী হাফিজিয়া
মাদ্রাসার আরবি শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে বেরিয়ে এসেছে ভয়ংকর এমন তথ্য।
সরেজমিনে জানা যায় শিক্ষক আক্ততারুজ্জামান তুহিন ২ বছর যাবত তার বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতো শিক্ষার্থীদের। এই সুযোগে মাদ্রাসার ২১ শিশু ছাত্রীকে তার খাস রুমে নিয়ে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটিয়েছে ওই শিক্ষক। এমনই জানালেন ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকরা।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষথেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ জানানো হয়। এরপর সভাপতির নেতৃত্বে মাদ্রাসার ভিতরে বসানো হয় বিচার। সেই বিচারে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক আক্তারুজ্জামানকে বের করে দেওয়া হয়। এটাই নাকি তার জন্য বড় শাস্তি দেওয়া হয়েছে এমনটাই দাবি মাদ্রাসার সভাপতি শামসুল রহমানের।
মাদ্রাসা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও ইংরেজি শিক্ষক হাসানুর রহমানের সাথে কথা বললে তারা জানান মাদ্রাসা কমিটির নেতৃত্বে বিচার বসানো হয়। এখন প্রশ্ন শিশু ধর্ষণের বিচার মাদ্রাসার কমিটি করতে পারে কিনা? আইন অমান্য করে বিচারের মাধ্যমে এমন ঘৃণীত কাজের জন্য
শাস্তি হিসেবে তাকে মাদ্রাসা থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে ২১ জন ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হলেও সম্মানের ভয়ে অনেকে মুখ খোলেননি। তবে ঘটনার লোমহর্ষক বিবরন দেয় কয়েকজন ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবক
প্রতিদিন কারনা কারও উপর চলতো পাষবিক নির্যাতন। এসব ঘটনার স্বচক্ষে দেখছে অনেক শিক্ষার্থী । ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পেতোনা কোন শিশুরা।
তবে এক প্রত্যক্ষদশী শিশু বিবরণ দেয় সেই ঘটনার সে বলে অনেক শিক্ষার্থী উলঙ্গ করে গোপন অঙ্গ দেখতো ওই শিক্ষক।
এদিকে এসব ঘটনার সত্যতা জানার জন্য মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মাওলানা ইউসুফ আলীর বাড়িতে উপস্থিত হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অনেক ছাত্রী তার কাছে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। এজন্য কমিটির সিন্ধান্তে তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
তবে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং সাতক্ষীরায় যেয়ে দেখা করার জন্য বলেন মাদ্রাসার সভাপতি শামছুর রহমান। তিনি আরও বলেন, আমি একটা বড় চাকরিও করতাম। কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের বর্তমান
সেক্রেটারি চাকরি আমি দিয়েছিলাম। ওর কাছে আমার কথা শুনবেন ও বলতে
পারবে। এছাড়া তিনি বিচারের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে বহিস্কার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আক্তারুজ্জামান তুহিনের বাড়িতে গেলে তুহিনের মাকে ছাড়া বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। এসময় তার ছেলে কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলে দ্রুত গতিতে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেন। এজন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, বিষয়টি তিনি অবগতনন। তবে তিনি তদন্ত করে দেখবেন ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
শিশু ধর্ষণের মহানায়ক শিক্ষক তুহিনকে দ্রুত গতিতে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নারী উন্নয়ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ