সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে আম ভাঙ্গা
শহর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরায় প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় শেষে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ আম পাড়া। চাষিরা বলছেন, উৎপাদন ভালো হলেও দামে সন্তুষ্ট নন তারা।
আবহাওয়া ও মাটির কারণে অন্যান্য জায়গার তুলনায় আগে পেকে যায় সাতক্ষীরার আম। দাম পাওয়ার আশায় অনেকে আগেই কাঁচা আম পেড়ে নেন। এরপর রাসায়নিক ব্যবহার করে সেগুলো পাকিয়ে বিক্রি করেন। এসব ঠেকাতে এবার প্রশাসন আম পাড়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করে দেয়।
সে অনুযায়ী সাতক্ষীরার বাগানগুলোতে শনিবার থেকে গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ আম পাড়া হচ্ছে। ৪ মে পর্যন্ত চলবে আম পাড়া।
চাষিদের অভিযোগ, আমের যে দাম পাচ্ছেন তাতে খরচ উঠছে না।
সদর উপজেলার বাঁকাল এলাকার চাষি আমজেদ আলী বলেন, ‘প্রতি মণ আমের দাম যাতিছে ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। এতে আমাগির লোকসান হতিছে। যদি আমের দাম ২৮০০ টাকা হতো তালি দুডো পয়সা থাকত। এযা বিক্রি হচ্চে, তাতে খরজ উঠপে না।’
ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলছেন, অসাধু উপায়ে আমের মান যেন কেউ ক্ষুণ্ণ করতে না পারে, সে বিষয়ে তৎপর রয়েছেন তারা।
বড়বাজার কাঁচা-পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু বলেন, ‘সরকারি বিধি পালনের কিছুটা দায়িত্ব আমাদের রয়েছে। আমরা পরিষ্কার ঘোষণা করেছি, গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ আম ছাড়া অন্য কোনো আম যদি কেউ নিয়ে আসে, তবে আমরা সে আম নষ্ট করে দেব। এ ছাড়া কেমিক্যাল দিয়ে আম পাকানোর বিষয়েও সতর্ক করেছি আমরা।’
চাষিদের ভোগান্তি নিরসনেও প্রশাসনিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বাইরে থেকে যারা আম কিনতে আসবেন, তাদের কমপক্ষে তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ ছাড়া আমচাষিদের সুবিধার্থে ২১ মে আম্রপালি ও এরপর অন্যান্য আম পাড়া যাবে।’
তিনি জানান, জেলায় এবার পাঁচ হাজারেরও বেশি বাগানে আম চাষ হয়েছে। চাষি রয়েছেন ১৩ হাজার ১০০ জন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। আর ৫০০ হেক্টর জমিতে গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ আম চাষ করা হয়েছে।