কলারোয়ায় সংবাদ সংগ্রহে যেয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাংবাদিক লিটন
কামরুল হাসানঃ
কলারোয়ায় এক সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে যেয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কাজীরহাট বাজারস্থ জননী নার্সিং হোমে। হামলার শিকার কলারোয়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এশিয়ান টিভির কলারোয়া প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম লিটন। আহত সাংবাদিক মহান মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফফারের পুত্র। আহত সাংবাদিক লিটন কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, কাজীরহাট বাজারে অবস্থিত জননী নার্সিং হোমের স্বত্বাধিকারী মমতাজ আলী দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ক্লিনিক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এশিয়ান টিভির কলারোয়া প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম লিটন শুক্রবার(৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নার্সিং হোমে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারপিট করে আহত করা হয়।
এ সময় সাংবাদিকের ব্যবহৃত ক্যামেরাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি সন্ত্রাসীরা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়। আহত সাংবাদিক আরও জানান, শুক্রবার এক গর্ভবতী মহিলাকে সরকারি নিয়মনীতি ও স্বাস্থ্যনীতি উপক্ষো করে সরকারি অনুমোদন বিহীন জননী নাসিং হোমে সিজার করা হয়। সিজার করার পর প্রাইভেট ডাক্তার সিরাতুন তাসকুরা বাঁধনের কাছে এ্যানেসথেসিয়া বিষয়ক কনসালটেন্ট ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নিজেই এ্যানেসথেসিয়া করিয়েছি।
এ্যানেসথেসিয়া বিষয়ক কনসালটেন্ট ছাড়া অপারেশন করা যায় কিনা ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে এই সময় অবৈধ নার্সিং হোমের স্বত্বাধিকারী মমতাজ আলীর সন্ত্রাসী ছেলে আশরাফুল আলম ও মেডিকেল সহকারী দীপংকর কুমার সমাদ্দার (ডিকে সমাদ্দার)সহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাংবাদিককে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় সাংবাদিক লিটনকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে কলারোয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহত সাংবাদিক লিটন জানান।
এদিকে, সাংবাদিক লিটন সন্ত্রাসী হামলায় আহতের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে যেয়ে আহতের শারীরিক খোঁজ খবর নিয়ে সুস্থতা কামনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, পৌর মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, প্রেসক্লাব সভাপিত শিক্ষক দীপক শেঠ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ আলী, রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ.সভাপতি সাংবাদিক জাকির হোসেন, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মোস্তফা হোসেন বাবলু. মুজাহিদুল ইসলামসহ সাংবাদিকবৃন্দ ও শুভাকাঙ্খীগণ। এ ছাড়া, কলারোয়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম লিটনের দায়িত্ব-কর্তব্যে বাধাদান ও শারীরিক ভাবে আহত করায় প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের জোর দাবী জানান।