শ্যামনগরে ৩ বছর ধরেও কৈখালীর উপজেলা সড়কটি সম্পন্ন হলো নাঃ ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

আশিকুজ্জামান লিমনঃ

সাদা পোষাক পরে রাস্তা দিয়ে চললে পোষাকের রং লাল হয়ে যায়। হয় শ্বাসসকষ্ট। রাস্তার দুপাশের গাছগুলো লাল রং এ রঙ্গিন হয়ে রয়েছে। মনে হয় লাল রং এর বাহার। এমন ধরনের ঘটনা শ্যামনগর উপজেলার কৈখালীর উপজেলা সড়কে। কষ্টকর হয়ে পড়ছে সড়কের দুপাশে সাধারণ মানুষের বসবাস করা।

সড়কের দুপাশে হাজার পরিবার ইটের লাল ধুলায় আক্রান্ত হচ্ছে হাঁফানি অ্যাজমা সহ বিভিন্ন শ্বাসজনিত রোগে। গত ২০১০ সালে সাতক্ষীরার, শ্যামনগর, বাধঘাটার  মোল্ল্যা ইঞ্জিনিয়ারিং ওকসপ

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক নুরুল হক (মোল্ল্যা) খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের উপজেলা সড়ক নির্মানের টেন্ডার গ্রহন করেন। যা (সাধারণ বিভাগ খানপুর রোড এন্ড হাউস ভায়া ভেটখালী সাধারণ বিভাগ) ৫১.৫
কি:মি: এর মধ্যে কৈখালীর বৈশখালী থেকে যাদবপুর বাজার অভিমূখে ২ কি:মি: এবং যাদবপুর বাজার থেকে পরানপুর বক্কারের মোড় অভিমূখে ২ কি:মি: রাস্তাটির কাজ দীর্ঘ ৩ বছর ধরেও শেষ করতে পারেনি। এতে করে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে।

এলাকা সাধরণ মানুষ অভিযোগ করেছেন যে, ঐ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক নুরুল হক (মোল্ল্যা) উপজেলা থেকে অনেকগুলো কাজ টেন্ডার গ্রহন করেছেন কিন্ত ঐ কাজ শেষ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

শ্যামনগরের ঐ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক নুরুল হক (মোল্ল্যা) মোবাইলে বলেন, আমি ২০১০ সালে টেন্ডারটি গ্রহন করি এবং অফিসিয়াল কারনে ১০১৭ সালে কাজ শুরু করি। বর্তমানে মহামারি করোনার কারনে পাথরের অভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে।

এই বলে মোবাইল কেটে দেন।অন্যদিকে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী কে এম শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন এসেছি শ্যামনগরে তবে কাজটি মহামারি করোনার কারনে পাথরের অভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে। জুন মাসের ভিতরে শেষ হবে বলে মনে করছি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)