সাতক্ষীরায় জামায়ত কর্মী দু’ সহোদরের হুমকিতে দিশেহারা এক জেলে পরিবার
রঘুনাথ খাঁঃ
সাতক্ষীরা শহরতলীর পারকুকরালির জেলেপাড়ার
জামায়াত কর্মী আবু সালেক ও আবু সাঈদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রতন বৈদ্য পরিবার। সাত শতক জমি জবরদখল করার পর বাড়িসহ অবশিষ্ঠ আট শতক জমি থেকে ওই পরিবারকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি ধামকি অব্যহত রয়েছে। প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না রতন বৈদ্য।
সাতক্ষীরার শহরতলীর পারকুকরালি জেলেপাড়ার মৃত ফুলচাঁদ বৈদ্যের ছেলে বৃদ্ধ রতন বৈদ্য(৭৫) জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে ও মুক্তিযুদ্ধের আগে
তাদের গ্রামের হৃদয় পাড়–ই, বাজারী দাসী ও কৈলাস পাড়–ইসহ কয়েকজনকে খান সেনাদের ভয় দেখিয়ে ঘরবাড়ি ও জমি ফেলে ভারতে যেতে বাধ্য করে একই গ্রামের। হামেজউদ্দিন সরদার। ১৯৮২ সালে তারা ওইসব হিন্দু স¤প্রদায়ের জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তিনটি দলিল তৈরি করে দখলে নেয় হামিজউদ্দিনের ছেলে জামায়াত কর্মী আবু সালেক ও আবু সাঈদ।
এ ছাড়া হিন্দুদের ফেলে যাওয়া ৭২ শতক অর্পিত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নেয় তারা। এরপরও
থেকে নেই ওই দু’ সহোদর। তারা তার (রতন) ১৫ শতক ভিটা জমির মধ্যে সাত শতক দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে। বাকীটুকু জবরদখল করতে হাত পা ভেঙে দেওয়া, রাতের আঁধারে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়াসহ মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর হুমকি দিচ্ছে আমিনউদ্দিন সরদাররের দু’ ছেলে সলেমান সরদার ও শাহজাহান সরদার।
এ ঘটনায় তিনি থানায় কয়েকটি সাধারণ ডায়েরী করাসহ প্রতিকার চেয়ে স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রীসহ পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করেছেন। স্থানীয়ভাবে কমপক্ষে ২০ বার
শালিস হলেও রায় মানেনা সাঈদ ও সালেক। অভিযোগ করে প্রতিকার না পাওয়ায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ফলে স্ত্রী, দু’ ছেলে, পুত্রবধু ও নাতির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। হিন্দু স¤প্রদায়ের ফেলে যাওয়া জেলেদের জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে থেমে নেই এক সময়কার জামায়াতের সক্রিয়
কর্মী দু’সহোদর সাদেক ও আবু সাঈদ। জেলেদের খাস হওয়া জমি দখলে নেওয়ার পর রতন বৈদ্যের সাত শতক জমি জবর দখল করে রেখে বাকী
আট শতক জমি থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য হুমকি ধামকি ধামকি অব্যহত রয়েছে।
জানতে চাইলে পারকুকরালি গ্রামের আবু সাঈদ বৃহষ্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, রতন বৈদ্য ও তার বোন জবা বৈদ্য তার ৬ দশমিক ৭৬ শতক জমিতে ঘর বাড়ি বানিয়ে দখল করে রেখেছে। তার পরিবর্তে খাল পারে তিনি রতন বৈদ্যের ৬ দশমিক ৫৬ শতক জমিস দখল
করেছেন। এ ছাড়া হৃদয়সহ কয়েকজনের কাছ থেকে তারা দু’ ভাই এক একর ৩৮ শতক জমি কিনলেও দখলে আছে এক একর তিন শতক।
বিষয়টি নিয়ে শালিস হলেও কোন সমাধান হয়নি। স¤প্রতি রতন বৈদ্যের পক্ষ থেকে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীর সহযোগিতায় তার জমিতে নতুন ঘরে ঘর বানানোর চেষ্টা হলে
তিনি থানায় অভিযোগ করেন। বুধবার এ নিয়ে সহকারি উপপরিদর্শক সুভাষ শিকদারের কাছে বসাবসি ছিল। অপরপক্ষ রতন বৈদ্য আসেনি। ৭২ শতক জমি তারা দু’ ভাই কিনলেও পরবর্তীতে
খাসন হয়ে গেছে। ওই জমি তারা দখল করেন দাবি করে বলেন, কাগজপত্র জাল হলে বর্তমান মাঠ পড়চা ও নামপত্তন তাদের নামে হলো কিভাবে? পারলে আদালতে জাল প্রমান করে আসুক।