বেনাপোলে পরকীয়ার টানে শিশুকে ফেলে মা উধাও, পিতা ফিরে পেলো হারানো সন্তান
শার্শা বেনাপোল থেকে :
যশোরের বেনাপোলে পরকীয়ায় টানে আলিফ হাসান নামে মাত্র দেড় বছরের কোলের শিশু সন্তানকে ফেলে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে দুই সন্তানের জননী মুন্নি বেগম নামে এক নারী।
আলিফ হাসান (১৬ মাস) সে নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন খড়লিয়া গ্রামের মোঃ কালু মিয়ার ছেলে। তবে কালু মিয়া স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন সাদীপুর গ্রামের খেয়াঘাট পাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
শিশুটির বাবা কালু মিয়া বলেন, তার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। সে আমার সংসার করবে না বলে পূর্বে কয়েকবার জানায়। বিষয়টি ঠিক হয়ে যাবে বলে আমি প্রতিত্তর করিনি, বরং তাকে বুঝিয়েছি। গতকাল আমার অজান্তে আমার ৮ বছরের মেয়েকে বাড়িতে রেখে, দেড় বছরের বাচ্চাটিকে নিয়ে কোন এক সময় বাড়ি থেকে বের হয়।
পরবর্তীতে সে আমাকে ফোনে জানায় আমার বাচ্চাকে সে বেনাপোল বাজারে এক দোকানে রেখে চলে গেছে। একথা শুনে তৎক্ষণাৎ আমি খোঁজ খবর নিয়ে পাইনি। আজ বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে আমি আমার সন্তানকে পেয়েছি। সন্তানকে ফিরে পেয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ জানান কালু মিয়া।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, গতকাল শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার সময় মুন্নি বেগম নামে এক নারী তার শিশু বাচ্চাটিকে বেনাপোল বাজারস্থ একটি চায়ের দোকানে ফেলে চলে যায়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও শিশুটির মা ফিরে না আসায় দোকানদার শিশুটিকে নিয়ে থানায় এসে বিস্তারিত জানায়। এরপর বাচ্চাটিকে পুলিশের হেফাজতে রেখে তার পরিবারের অনুসন্ধান চালানো হয়।
এসময় পুলিশের পাশাপাশি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার শার্শা উপজেলা কমিটির সাংবাদিকরা শিশুটির পরিচয় খুঁজতে বেশ ভূমিকা রাখে। অবশেষে সাংবাদিক এস এম মারুফ এর সহযোগিতায় শিশুটির পরিচয় পেয়ে, তৎক্ষণাৎ পোর্ট থানা পুলিশ শিশুটির পরিবার সনাক্ত করে। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শিশুটিকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।