আদালতের রায় স্বত্ত্বেও জমির হারি থেকে বঞ্চিত দেবহাটার এক সংখ্যালঘু পরিবার
দেবহাটা প্রতিনিধি:
আদালতের রায় থাকা স্বত্ত্বেও প্রভাবশালী প্রতিপক্ষদের কাছ থেকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তকৃত জমির হারির টাকা পাচ্ছেননা দেবহাটার কালীপদ মিস্ত্রী (৬২) নামের এক অসহায় সংখ্যালঘু পরিবার। তিনি উপজেলার টিকেট গ্রামের মৃত নেপাল মিস্ত্রির ছেলে। প্রতিনিয়ত প্রতিপক্ষদের হয়রানীর শিকার হয়ে এবং জমির হারি বাবদ বকেয়া প্রায় দুই লক্ষ টাকা না পেয়ে আদালতের রায় নিয়ে ন্যায় বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তিনি।
ভুক্তভোগী কালীপদ মিস্ত্রী তার অভিযোগে জানান, ১৯৮৮-৮৯ সালে সরকারের কাছ থেকে টিকেট এলাকার রঘুনাথপুর মৌজার ৪/১ খতিয়ানের ৪৫ শতক জমি বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে মৎস্য চাষ করতেন তিনি। পারিবারিক নানা সমস্যার কারনে ২০১০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী একই এলাকার মৃত মাদার মন্ডলের ছেলে অজয় মন্ডল ও প্রভাস মন্ডলের ছেলে তন্ময় মন্ডলকে ওই জমিটি দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়ে তাদের নামে পাওয়ার অব এ্যাটনী করে দেন কালীপদ মিস্ত্রী। এরপর থেকে পাওয়ার অব এ্যাটনীর বলে এবং কালীপদ মিস্ত্রীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে জমির হারির টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয় প্রতিপক্ষ অজয় মন্ডল ও তন্ময় মন্ডল। বছরপ্রতি ২২ হাজার টাকা করে চুক্তি থাকলেও ২০১০ সাল থেকে গেল প্রায় ১১ বছর নিজের বন্দোবস্তকৃত জমির হারির টাকা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে কালীপদ মিস্ত্রির অসহায় পরিবার। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে পাওয়ার অব এ্যাটনী বাতিলের জন্য কালীপদ মিস্ত্রী সাতক্ষীরার সহকারী জজ আদালতে (দেবহাটা) একটি মামলা (নং- ৩০/২০১৯) করেন। দুবছর মামলার শুনানী অন্তে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারী উক্ত পাওয়ার অব এ্যাটনী (আমমোক্তারনামা) রদ ও রহিত করে কালীপদ মিস্ত্রীর পক্ষে রায় দেন সহকারী জজ জাহিদুর রহমান। কিন্তু আদালতের রায় থাকা স্বত্ত্বেও অদ্যবধি ওই দুই প্রভাবশালী অজয় মন্ডল ও তন্ময় মন্ডল জমির মালিক কালীপদ মিস্ত্রীকে বকেয়া পাওনা হারির প্রায় দুই লক্ষ টাকা পরিশোধ না করে তালবাহানা ও বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। তাই ন্যায় বিচার ও আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির জন্য দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দেবহাটা থানার ওসি’র সুদৃষ্টি কামনা করেছেন কালীপদ মিস্ত্রীর ভুক্তভোগী পরিবার।