উপকূলীয় এলাকায় মহান শিক্ষা গুরু আব্দুল হামিদ আলোকিত করল হাজার শিক্ষার্থীর জীবন
এস এম সাহেব আলী,উপকূলীয়ঃ
সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় ৯০ এর দশকে মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত মুন্সিগঞ্চ ডিগ্রী কলেজে জ্ঞানের আলো জ্বালানোর দায়িত্ব নেন। এমননি একজন শিক্ষা গুরু। তিনি সকলেই নিকট অতি প্রিয় একজন মুখ।
শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। একজন শিক্ষক মানুষের হৃদয়ে চিরস্মরণীয়, বরণীয় হয়ে থাকেন। শিক্ষকের মৃত্যু হলেও কালের আবর্তনে তার প্রদত্ত অবদান ক্ষয় হয় না। শিক্ষা গুরুর পাঠদানের প্রতিদান প্রবহমান থাকে অনন্তকাল। সেটা মরেও অমর। একজন শিক্ষকের জ্ঞান দ্বারা অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবন উপকৃত হয়। এ উপকারই একজন শিক্ষকের জন্য পরকালের রোজগার হিসাবে অর্জন। হাদিসে রাসুল(স) বলেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমলের সওয়াব কখনো বন্ধ হয় না। ১. ছদকায়ে জারিয়া, ২. ওই জ্ঞান, যার দ্বারা মানুষের উপকার সাধিত হয় ও ৩. যে সন্তান তার (মা-বাবা) জন্য দোয়া করে।’ সহিহ মুসলিম :
শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন নির্ভর করে শিক্ষকের উপর। শিক্ষকের ভালোবাসায় ছাত্রের জীবন আলোকিত হয়। তাই শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদেরকে আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তবে এ সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্জনের প্রথম শর্ত হলো- শিক্ষককে আদর্শবান ও নীতিবান হতে হবে। কারণ শিক্ষকের স্বভাব দ্বারা ছাত্ররা প্রভাবিত হয়। আর ওই প্রভাব ছাত্রজীবনের মূল উদ্দীপক। তাই একজন শিক্ষকের জীবনে শিক্ষকতার পাশাপাশি নৈতিকতার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে শিক্ষককে পিতামাতার পরেই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
এমনি একজন শিক্ষক আমার জীবনে দৃশ্য মান তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মুন্সিগঞ্চ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ( ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা আব্দুল হামিদ স্যার। শিক্ষার আলো জ্বলে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন আলোকিত করেছেন। তিনি যে আদর্শ সমাজের মাঝে স্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়।
শিক্ষার্থীর জীবনকে আলোকিত করে আবার সেই শিক্ষার্থী স্বীয় জ্ঞান দ্বারা অন্যের জীবনকে আলোকিত করতে সক্ষম হয়। শিক্ষকের অবদান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, শিক্ষার্থীর জীবনপ্রবাহে ও মানবসমাজে চিরকাল অবিস্মরণীয় হয়ে থাকে। তাই একজন আদর্শ শিক্ষক সমাজের আদর্শের প্রতীক বলা হয়। তার সুশিক্ষা জ্ঞান দানের ধারাবাহিকতায় সমাজ থেকে মূর্খতা বিতাড়িত হয়।
শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি- সর্বোপরি দেশকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করাই শিক্ষকের মুল লক্ষ্য। আল্লাহ । মহান শিক্ষকদের হাত ধরে সমাজ আজ মুক্ত বাতাসের ছোয়া পেয়ে আদর্শ সমাজ রুপে পরিনত হয়েছে। উপকুলীয় এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে দেখা যায় অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে তিনি অভিভাবক হিসাবে দাড়িয়েছে, তিনি সুপরামর্শ হিসাবে সমাজ সংস্কারের ভৃমিকা পালন করেছে মোস্তফা আব্দুল হামিদ সাহেব।
সব মিলেই তিনি আমাদের এই উপকুলীয় এলাকায় সম্মানিত একজন মহান শিক্ষক।