ডাম্পার চলাচলে অতিষ্ঠ ড্রাইভার সহ পথচারী- সড়ক যেন মরন ফাঁদে পরিণত
আশিকুজ্জামান লিমন :
শ্যামনগরের কৈখালী হতে কালিগঞ্জ পর্যন্ত মেইন সড়কটি যেন এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ইট ভাটায় মাটি যোগান দিতে ডাম্পার, মিনিট্রাক দ্বারা সরবরাহ করা মাটি রাস্তায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে সিএমবি রাস্তা। প্রতিনিয়ত ডাম্পার চলাচলে দূর্ঘনার শিকার হচ্ছে সাধারণ পথচারী। তবে ডাম্পার চালকদের প্রকৃত লাইন্সেস আছে কি না ? তা জানা নেই।
“ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রীন সাতক্ষীরা” বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক যেখানে তৎপরতা। আর এর মধ্যে দিয়ে কিছু অসাধু ব্যাক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে এমন ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
পথচারীরা সাধারণ গাড়ী চালকরা বলেন, কিছু করার নাই কারণ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের সাধ্য পূরণের জন্য হাজার হাজার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। বর্তমানে রাস্তাতে ডাম্পার চলাচলের কারনে রাস্তাতে চলাচলের মত অবস্থা নেই।
তাছাড়া ইট ভাটায় মাটি নিয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তাটির এমন বেহাল দশা হয়েছে। অবৈধ ডাম্পার গাড়ীতে মাটি বহনের ফলে রাস্তার উপর মাটি পড়ে রাস্তাটি দিনের পর দিন নষ্ট হচ্ছে এবং সামনে বৃষ্টির মৌসুমে এর পরিনতি হবে ভয়াবহ। ধুলাবালিতে জনদূর্ভোগে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ। একদিকে রাস্তায় ধুলাবালি অন্যদিকে রাস্তাটি গর্তে পরিণত হয়েছে। মেইন সড়কটির বেহাল দশার কারনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীদের উপজেলা সদর হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে নিতেও অনেকটা সময় ক্ষেপন ও বেগ পেতে হচ্ছে এ্যম্বুলেন্স ও রোগীর স্বজনদের। এ জন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না যায় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তাছাড়া আগামী বর্ষা মৌসুম তো আছেই। কোথাও কোথাও গর্তের পরিমাণ আরো বেশি। সাধারন মানুষ তীব্র ভোগান্তির শিকার হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহনের বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
যতদ্রুত সম্ভব প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।