১১ এপ্রিল সাতক্ষীরার ২১ টিসহ ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট
নিউজ ডেস্ক:
দেশের ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আগামী ১১ এপ্রিল রবিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ১০টি এবং তালা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। এসব ইউপিতে মনোয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৮ মার্চ, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১৯ মার্চ এবং প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ মার্চ।
বুধবার (৩ মার্চ) নির্বাচন কমিশন ভবনে এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তিনি জানান, একই দিনে (১১ এপ্রিল) ফৌজদারি অপরাধে দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে সংসদ সদস্য পদ হারানো শহিদ ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন এবং ১১টি পৌরসভায় ভোট হবে। তবে কোন কোন ইউপিতে ভোট হবে, বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত তা জানায়নি ইসি।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে কক্সবাজার, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও রংপুর জেলার ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে।
সাতক্ষীরা জেলার ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে কলারোয়া উপজেলার কয়লা, হেলাতলা, যুগীখালী, জয়নগর, জালালাবাদ, লাঙ্গলঝাড়া, কেড়াগাছি, সোনাবাগিয়া, চন্দনপুর ও দেয়াড়া এবং তালা উপজেলার ধানদিয়া, তেতুলিয়া, তালা, ইসলামকাটি, মাগুরা, খেশরা, জালালপুর, খলিলনগর, খেশরা, নগরঘাটা, সরুলিয়া ও খলিশখালী ইউনিয়ন।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘ইলেকশন কমিশনের যে অবস্থান, সবাইকে নিয়ে ইলেকশন করতে চাই।’
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস দেখিয়ে চরম প্রতিকূল অবস্থাতেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে প্রমাণিত হয়েছে- এই কমিশন কোনও নির্বাচনই নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের যোগ্য নয়। এই সরকার অনির্বাচিত একটি সরকার এবং সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই কমিশনের প্রধান কাজ।’
বিষয়টি ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সামনে আনা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করার একটা প্রিন্সিপাল আছে আমাদের। সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট যারা থাকেন, সবাইকে নিয়োগ করে থাকি। প্রয়োজনে বিজিবি নিয়োগ করে থাকি।’
বিএনপি না আসলে নির্বাচন এক তরফা হয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়টি বলছেন, নির্বাচন হবে আমাদের একবারেই ফ্রি। ১৮ মার্চ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। সময় এখনও আছে। এখনই আমরা কিছু বলতে চাই না। যেটা বলতে চাই, আমরা সবাইকে নিয়ে ইলেকশন করতে চাই।’