নারী কেলেঙ্কারির শাস্তি: জামালপুরের সেই ডিসির বেতন অর্ধেক
ডেস্ক নিউজ:
নারী অফিস সহায়কের সঙ্গে আপত্তিকর সম্পর্কে জড়ানোর অপরাধে জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের বেতন অর্ধেক করার নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
উপসচিব হিসেবে পঞ্চম গ্রেডে বেতন প্রাপ্ত আহমেদ কবীর এখন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ষষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন।
সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়।
জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন গণমাধ্যমকে জানান, আহমেদ কবীরের অপরাধ পুরো প্রশাসনকে কলঙ্কিত করেছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তার পরিবার ও সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা ও সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে চাকরিচ্যুত না করে ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ষষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন দেয়া হবে। এছাড়া তিনি আর কোনো পদোন্নতি পাবেন না। এ পদ থেকেই তাকে চাকরি থেকে অবসর নিতে হবে।
আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাকে শাস্তি দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক গুরুদণ্ড হিসেবে তিন বছরের জন্য নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ করা হলো। আহমেদ কবীর উপসচিব হিসাবে বর্তমানে পঞ্চম গ্রেডে প্রায় ৭০ হাজার টাকা বেতন পান। শাস্তির কারণে এখন থেকে তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ষষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন। পঞ্চম গ্রেডে তার মূল বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এখন তিনি মূল বেতন পাবেন ৩৫ হাজার টাকা। একই সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অন্যান্য ভাতা-সুবিধা পাবেন।
উল্লেখ্য, জামালপুরের ডিসি থাকার সময় অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার সঙ্গে আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে তাকে ডিসি পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।