সাতক্ষীরার দেবহাটা প্রেসক্লাবের মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, সাংবাদিকদের জন্য আলাদা ট্রাইবুনাল গঠন করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আজ সারাদেশে সাংবাদিকরা হামলা, মামলা ও হত্যার শিকার হচ্ছে। সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে নির্যাতনের শিকার হলেও তার সঠিক বিচার হয় না। কারণ হামলাকারীরা বেশিরভাগ প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে বেঁচে যান। তাই সাংবাদিকদের জন্য আলাদা ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচারের ব্যাবস্থা করা গেলে আমাদের সহকর্মীদের উপর হওয়া নির্যাতনের সঠিক বিচার পাব।
বক্তরা আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। যেটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দের খবর। তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব আমাদের জন্য একটি নিরাপত্তা আইন প্রনয়ণ করেন। একই সাথে সাংবাদিকদের নামে যখন তখন মামলা ও কর্মরত মিডিয়ার অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার না করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া দ্রুত সকল সাংবাদিক হত্যার বিচারের রায় প্রদান করা হলে সাংবাদিক নির্যাতন কমে যাবে। একই সাথে হত্যার শিকার সাংবাদিকের পরিবারের পাশে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। রাজধানী, বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলা পর্যয়ে রাষ্ট্রয়ী ভাবে প্রকৃত সাংবাদিকদের তালিকা প্রস্তুত করা সহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।
গত শুক্রবার বিকালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ‘বার্তা বাজার’ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির-কে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ এসব কথা বলেন বক্তরা। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টায় দেবহাটা প্রেসক্লাবের আয়োজনে ক্লাব সম্মূখ সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব লিটুর সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক ও বার্তা বাজার’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মীর খায়রুল আলমের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, বর্তমান সহ-সভাপতি আবু হুরায়রা, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, যুগ্ম সম্পাদক নির্মল কুমার মন্ডল প্রমুখ।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবু হুরাইরা, যুগ্ম সম্পাদক মোমিনুর রহমান, অর্থ-সম্পাদক কবির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আরিফ, সাহিত্য ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন লিটন, কার্যনির্বাহী সদস্য এম,এ মামুন, এস,এম নাসির উদ্দীন, সদস্য দিপঙ্কর বিশ্বাস, কে,এম রেজাউল করিম, সাংবাদিক সজল রহমান, আব্দুস সালাম, এসকে অভি, লিটন ঘোষ বাপ্পি, শাহিনুর রহমান শাহিন, রুহুল আমিন, ডাঃ মনিরুল ইসলাম মনি, ইসমাইল হোসেন সহ কর্মরত সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার বিকালে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে মারা যান সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। অতিদ্রুত হত্যাকারীদের আইনের আওতার দাবি জানানো হয়েছে।