চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলের গ্রেফতার পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
দুর্নীতিবাজ, সরকারি অর্থ আত্মসাতকারী, দুদকের মামলার আসামী চেয়ারম্যান শাকিলের গ্রেফতার পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রীউলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম বুলু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে ভূয়া প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা উত্তোলন করা। কোন
কাজ না করে বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখিয়ে এডিপি ও এলজিএসপির টাকা তুলে আত্মসাৎ। সুবিধা নিয়ে ধনী লোকদের দিয়েছে ভিজিডি কাড। ১০
টাকা কেজি দরের চাল পেয়েছে ধনী শ্রেণির লোকেরা। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সম্মানি ভাতা দেয়নি সে। সরকারি খাস জমিতে
তৈরি করেছেন বিলাস বহুলবাড়ি। সম্প্রতি শ্রীউলা এলাকার ঠাকুর দাস, মানিক চক্রবতী, রাসেদ সরদার, রহিমা খাতুন অনেক জমির মালিক। তাদের
আছে পাকা দালান বাড়ি। সরকারি চাকরিজীবি আব্দুল খালেক। এরকম অসংখ্যা লোকের নামে ১০ টাকা কেজি দরে চাউলের কার্ড দিয়েছে। অথচ
দরিদ্র শ্রেণির লোকজন সরকারি এসব সুযোগ সুবিধা পায়নি। পুইজালা গ্রামের রমেশচন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী কনিকা মন্ডলের টিপসই জাল দুই বছর ধরে
ভিজিডি চাল উত্তোলন করেছেন চেয়ারম্যানও তার লোকজন। ৪০ দিন কর্মসূচীর কাজ ৩০দিনে শেষ করে অতিরিক্ত ১০ দিনের টাকা উত্তোলন করে
নিজেদের মধ্যে ভাগবাটেয়ারা করে নিয়েছেন। যা মূলত শ্রমিকদের প্রাপ্য শ্রম স্বাপেক্ষে এবং এলাকার উন্নয়ন খাতের। যাদের প্রকল্পের সভাপতি ও
সম্পাদক করা হয়েছে তারা এসবের কোন কিছু খোজ রাখে না। তাদের সহি জাল করে ভ‚য়া মাস্টার রোলের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাথ করেছেন।
আবার এইসব শ্রমিক দিয়ে চেয়ারম্যান নিজস্ব ঘেরের ভেড়িবাধ ও বাগান
বাড়িতে কাজ কওে নিয়েছে। একই শ্রমিক ৫ বছর ধরে এই কাজ করেছে। এডিপিও এলজিএসপির আওতায় ভূয়া প্রকল্পের তালিকা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। রয়ার সিং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের নামে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন।
আবার মহিষকুড়া বিজিএম ক্লাবের মাঠ ভরাট করা হয়েছে বলে ৩ বারে ২৪ টান চাউল উঠানো হয়েছে। বুড়াখারুিট ইয়াংক্লাব, কাকড়া বুনিয়া
সবুজ সংঘ, শহিদ মিনার নির্মান, নাকতারা পাঞ্জেগানা সমজিদ সংস্কার করার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে নিজের পকেট ভত্তি করেছে। সেখানে এই সব প্রতিষ্ঠানের কোন অস্তিত্ব নেই। বকচর ডিজিটাল রেডিয়েন্ট এন্ড ফ্রেন্ডশীপ ক্লাব সংস্কার করার কথা বলে একই প্রতিষ্ঠানের নামে ৩ বার টাকা উত্তোলন করেছেন। আর এসব প্রকল্পের বেশির ভাগ সভাপতি চেয়ারম্যান আর
সেক্রেটারি তার গাড়িচালক আবদুল্লাহ আল মুামন। আব্দুল্লাহ আল মামুন যে শূন্য থেকে বর্তমানে টাইলস নির্মিত ঘরে বাস করে। নির্বাচিত
ইউপি সদস্যদের সম্মানি ভাতার টাকা পর্যন্ত দেয়নি বলে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। সে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে
প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। তার সাথে থাকলে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামীলীগ হয়। আর আওয়ামীলীগের লোক যদি তার পাশ থেকে সরে আসে সে জামায়াত শিবির হয়ে যায় এবং প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে তাদের উপর
বিভিন্ন রকম নির্যাতন চালিয়ে থাকেন। তিনি দলের নেতা কর্মীদের কোন উপকার আসে না। সে ইউনিয়নে কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করিনি। সরকার উন্নয়ন করার জন্য যে বরাদ্ধ দিয়েছে সব তার পকেটেস্থ করেছে। ইউনিয়নের
এমন অবস্থা রোগী নিয়ে বাড়ি থেকে যাওয়ার রাস্তা পর্যন্ত নেই। তিনি সব
সময় জামায়াত বিএনপির লোক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এখন তার আছে
প্রাইভেট গাড়ি, মাছের ঘের, বাগান বাড়ি আর কাড়ি কাড়ি টাকা। তার
এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তার মাদকাসক্ত পুত্র সৌরভ রায়হান সাদ তার
সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন নিয়ে হামলা, মারপিট ও লাঞ্চিত করে। এমনকি
মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিও করা হয়। চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল
ইউনিয়নের খেয়াঘাট ইজারা নিয়ে সরকারের ১৪ লক্ষ টাকা রাজস্ব
আত্মসাথে অভিযোগে দুদক কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী
তিনি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে দ্রæত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন
তারা।