বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান মারা গেছেন
বিনোদন ডেস্ক:
একুশে পদক ও ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি রাজধানীর সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছোট মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কোয়েল আহমেদ বলেন, আব্বা আর নেই। আব্বা আর নেই। শুক্রবার বিকেলে আব্বাকে বাসায় নিয়ে এসেছিলাম। উনি হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। তাই বাসায় নিয়ে আসা হয়েছিল।
এর আগে বুধবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে এটিএম শামসুজ্জামানকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে নেয়ার পর তার অক্সিজেন লেভেল কমার বিষয়টি ধরা পড়ে।
২০১৯ সালের শুরুর দিকে চার মাস একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। ওই সময় তিনি পরিপাকতন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন।
এটিএম শামসুজ্জামানের পুরো নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এ বরেণ্য অভিনেতা। তার পৈতৃক নিবাস লক্ষীপুরের ভোলাকোটের বড় বাড়ি। আর ঢাকায় দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে বসবাস করতেন তিনি। এটিএম শামসুজ্জামান ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা আইনজীবী।শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন নূরুজ্জামান। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।
এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। অভিনয়ের জন্য আজীবন সম্মাননাসহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয় বার।
১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দায়ী কে? চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে পুরস্কার পান। পরে ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ম্যাডাম ফুলি, ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চুড়িওয়ালা ও ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মন বসে না পড়ার টেবিলে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চোরাবালি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে পুরস্কৃত হন। এছাড়া ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সময় তিনি আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন। তাছাড়া শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।
একুশে পদক ও ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি রাজধানীর সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছোট মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কোয়েল আহমেদ বলেন, আব্বা আর নেই। আব্বা আর নেই। শুক্রবার বিকেলে আব্বাকে বাসায় নিয়ে এসেছিলাম। উনি হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। তাই বাসায় নিয়ে আসা হয়েছিল।
এর আগে বুধবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে এটিএম শামসুজ্জামানকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে নেয়ার পর তার অক্সিজেন লেভেল কমার বিষয়টি ধরা পড়ে।
২০১৯ সালের শুরুর দিকে চার মাস একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। ওই সময় তিনি পরিপাকতন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন।
এটিএম শামসুজ্জামানের পুরো নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এ বরেণ্য অভিনেতা। তার পৈতৃক নিবাস লক্ষীপুরের ভোলাকোটের বড় বাড়ি। আর ঢাকায় দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে বসবাস করতেন তিনি। এটিএম শামসুজ্জামান ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা আইনজীবী।শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন নূরুজ্জামান। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।
এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। অভিনয়ের জন্য আজীবন সম্মাননাসহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয় বার।
১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দায়ী কে? চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে পুরস্কার পান। পরে ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ম্যাডাম ফুলি, ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চুড়িওয়ালা ও ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মন বসে না পড়ার টেবিলে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চোরাবালি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে পুরস্কৃত হন। এছাড়া ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সময় তিনি আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন। তাছাড়া শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।