আজ সরস্বতী পূজা
নিউজ ডেস্কঃ
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ। এ ধর্মীয় উৎসবে পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন অগণিত ভক্ত।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, সরস্বতী পূজা দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধর্মীয় উৎসব। ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে এই উৎসবে সবার অংশগ্রহণ এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও ঐতিহ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমান কাল থেকে এ দেশের মানুষ পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্য আরো সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হাজার বছর ধরে এ ভূখণ্ডে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছেন। আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এ দেশে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা সব ধর্মের উৎসব সবাই মিলে আনন্দ-উৎসব সহকারে উদযাপন করি।
এদিকে সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে, দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। ধর্মীয় বিধান অনুসারে সাদা রাজহাঁসে চড়ে বিদ্যা ও সুরের দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় আজ মঙ্গলবার বাণী অর্চনাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দিরগুলোর অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি।
তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সারাদেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় প্রতি বছরের ন্যায় এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলে সাড়ম্বরে বিদ্যা ও আরাধনার দেবী সরস্বতীর পূজার আয়োজন হচ্ছে না।