করোনার টিকা নেবেন নরেন্দ্র মোদি
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ পঞ্চাশোর্ধ্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা করোনার টিকা নেবেন। বৃহস্পতিবার ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
ভারতে চলমান টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপে তারা টিকা নেবেন বলে জানায় দ্য হিন্দু। তবে তারা অক্সফোর্ড-অ্যাসট্রাজেনেকার কোভিডশিল্ড নেবেন না ভারতের নিজস্ব কোভ্যাক্সিন নেবেন তা জানা যায়নি।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার টিকা নিতে অনাগ্রহীদের উদ্বুদ্ধ করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভারতে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এক লাখ ৯১ হাজার মানুষ করোনার টিকা নেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়।
এদিকে খবরে জানা যায়, করোনার টিকা নিতে আগ্রহী হচ্ছে না ভারতের মানুষ। দেশটিতে টিকা নিতে অগ্রাধিকার পাওয়াদের মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ ডোজ নেয়নি।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, বিষয়টি সামনে আসার পর মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহিত করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির সরকার নিশ্চিত করেছে, টিকা নেওয়ার পর অন্তত দুজন মারা গেছেন। ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, টিকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে মারা যাওয়া ৫২ বছর বয়সী ব্যক্তি হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসজনিত রোগে ভুগছিলেন। কর্ণাটকে মারা যাওয়া ৪৩ বছরের ব্যক্তি মারা যান হৃৎক্রিয়া বন্ধ হয়ে।
শনিবার ভারত বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনে সবাইকে দুই ডোজ নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানান।
ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রযুক্তি নিয়ে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, এই দু’টি প্রতিষেধক নিয়েই ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। তার জন্য সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৩ হাজার ৬টি টিকাকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রথম দফায় সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনে প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনের শরীরে প্রতিষেধক প্রয়োগের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। প্রথম দিনেই প্রায় ৩ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিষেধক নেন।