আগামী পাঁচ বছর ইলিশ রফতানি করবে না সরকার

নিউজ ডেস্ক:

‘দেশের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আগামী পাঁচ বছর ইলিশ রফতানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের চাহিদা পূরণ করে তবেই বাইরে রফতানি হবে’।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ কথা জানান।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ১২ বছর হয়ে গেছে। এই ১২ বছরে আমাদের মৎস ও প্রাণিসম্পদের অনেক উন্নতি হয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ২০১০ সালে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২.৯৯ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে ৫.৩৩ লাখ মেট্রিক টন। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম।

মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষ এখনও ইশিল খেতে পারে না। তাদের ইলিশের স্বাদ দিতে হবে। অতএব আগামী ৫ বছরে ইলিশ রফতানির চিন্তা নেই।

তিনি বলেন, মূলত ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির পেছনে সরকারের অনেক বড় উদ্যোগ এবং ব্যবস্থাপনা ছিলও। এর মধ্যে জাটাক ধরা বন্ধ, মা ইলিশ রক্ষা, অবৈধভাবে ইলিশ ধরা বন্ধ, জাল আটক করা, চোরাই পথে ইলিশ রফতানি বন্ধ ছিল। এ কারণেই ইলিশের উৎপাদন আজকে প্রায় দ্বিগুণ। অতএব ইলিশ রফতানি যৌক্তিক হবে না।

এছাড়া সার্বিকভাবে মাছ উৎপাদন ১২ বছর আগে ছিল ৩০.৬২ লাখ মেট্রিক টন, যেটা বর্তমানে ৪৪.৮৮ লাখ মেট্রিক টন বলেও জানান মন্ত্রী

উল্লেখ্য, মৎস্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের চলতি মাসের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশ এখন বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশের পরই ইলিশ উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তৃতীয় স্থান মিয়ানমারের। আর ইরান, ইরাক, কুয়েত ও পাকিস্তানে বাকি ইলিশ উৎপাদন হচ্ছে।

এদিকে ওয়ার্ল্ডফিশ, মৎস্য অধিদফতর ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শুধু পরিমাণের দিক থেকেই নয়, আকৃতিতেও বাংলাদেশের ইলিশের ধারে-কাছে নেই কোন দেশ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)