অ্যাড.আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষী দেওয়ায় চারজনকে পিটিয়ে জখম
রঘুনাথ খাঁঃ
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে তদন্তকারি কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দেওয়ায় দু’ নারীসহ চারজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন, সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে শহীদুল ইসলাম, তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম, ছেলে
শাকিল হোসেন ও ও মুক্তিযোদ্ধা ইছহাক গাজীর স্ত্রী
শরিফুন্নেছা ।
দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের আব্দুল আজিজ গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর তার কাছ থেকে জজ
কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ ৮৪ হাজার টাকা ধার নেয়।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় তিনি জনৈক আব্দুল হামিদের কাছ থেকে বায়নাকৃত ৫ কাঠা জমি তার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার প্রতিশ্রতি দেয়। পরবর্তীতে জমি লিখে না দিয়ে বা টাকা পরিশোধ না করে গত ৩০ অক্টোবর তাকে বাড়ি থেকে হেঁকে দেয়।
এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে আব্দুল লতিফের
বিরুদ্ধে গত ৯ নভেম্বর সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর আগামি ৮ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো
ইনভেস্টিগেশনকে নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ি পিবিআই এর উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমান মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঘটনার তদন্তে
তার বাড়িতে যান।
এ সময় সাক্ষী দেন তার মেঝ ভাই শহীদুল ইসলাম।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তদন্তকারি কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পরপরই আব্দুল লতিফের ছেলে রাসেল এর নেতৃত্বে শরিফ, মোমিন, আনিছুর, আলমগীর, রিপনসহ কয়েকজন শহীদুল ইসলাম, তার স্ত্রী
মর্জিনা বেগম, তাদের ছেলে শাকিল ও ম্বাশুড়ি শরিফুন্নেছাকে পিটিয়ে জখম করে।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অ্যাড. আব্দুল লতিফের ছেলে রাসেল নিজেকে মারপিটের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি পিবিআই কর্মকর্তার সঙ্গে ছিলেন। বীমার টাকা
পাওনাদাররা শহীদুলসহ কয়েকজনকে মারধর করেছে বলে তিনি জেনেছেন।
অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। তবে বিষয়টি ভিন্ন। তার ছেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পিবিআই এর উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়েছে।
তাদেরকে বুধবার অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে।সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনান্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।