দেখার কেউ নেই তীব্রশীতে কষ্টে আছে আশাশুনির খালিয়ার বিধবা আম্বিয়া
স্টাফ রিপোর্টার:
আমাদের দেখার কেউ নেই বাবা। তীব্র শীত অপেক্ষা করে পিতা হারা ছেলে মেয়েদের নিয়ে খাস সম্পত্তির উপর ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছি।
একটি সঠিক সংবাদ পরিবেশন করে আমাদের চিত্র টুকু তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করছি বাবা। শনিবার সকালে এমনি আর্তনাদ করেন আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের বিল খালিয়া গ্রামের মৃত রুহুল আমীন গাজীর দ্বিতীয় স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন।
আম্বিয়া খাতুন জানান, আমার স্বামী রুহুল আমীন গাজী গত ১৭বছর আগে মারা যায়।
সে সময় থেকে আমিও আমার সতিন ছকিনা খাতুন ও ২ পুত্র এবং ৫ কন্যা কে নিয়ে অতিকষ্টে দিনাপত
করছি। বর্তমান ৫কন্যা সকলের বিবাহ দিয়েছি। স্বামী মারা যাওয়ার পর পরিবারের সকল সদস্যরা এক একর খাস সম্পত্তির উপর বসবাস করে
আরছি। এবং যথা সময় সরকারী রাজস্ব পরিশোধ করি।
সম্প্রতি মুজিব বর্ষে সরকার ভুমিহীন দের ঘর দেওয়ার কথা এলাকায় প্রচার হলে আমার সতিন সখিনা আমার ছেলে মেয়েদের আড়াল করে সাংবাদিক ডেকে ছবিতুলে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বর্তমান ছকিনার ছেলে
পাকা ঘর নির্মানধীন রয়েছে।
আম্বিয়া আরও বলেন, স্বামী মরা থেকে আজ পর্যন্ত সরকারি ভাবে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা আমার ভাগ্যে জুটেনি। শীতে ইউনিয়নে অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হলেও সেটি থেকে বঞ্চিত হয়েছি আমরা।
এখন রাস্তায় কাজ করে কোন রকমে সংসার
চালাচ্ছি।খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি মন্ডল জানান, রুহুল আমীন গাজী মারা যাওয়ার পর তার পরিবার খুব অসহায়
দিনপাত করছে। কোন রকম রাস্তায় কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। এবার শীতে কম্বল এলে তাদের দেওয়া হবে।