করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭৮ হাজার মৎস্যচাষি পাচ্ছেন প্রণোদনা
নিউজ ডেস্কঃ
মহামারি করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের প্রণোদনা দেবে সরকার। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় চলমান একটি প্রকল্প থেকে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ৭৮ হাজার চাষিকে ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য অধিদফতরের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’ তাদের প্রকল্প এলাকায় এ সহায়তা দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে উপকূলীয় ১৬ জেলার চাষিরা। এই প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের যে ছয় ক্যাটাগরিতে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে, সেগুলো হলো- ক্ষুদ্র মৎস্যচাষি, ক্ষুদ্র চিংড়িচাষি, মাঝারি মৎস্যচাষি, মাঝারি চিংড়িচাষি, কুঁচিয়াচাষি এবং কাঁকড়াচাষি।
জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক মাহবুবুল হক বলেন, প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তথ্য নিয়ে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী মাসে প্রণোদনার টাকা চাষিদের মোবাইলে পাঠানো হতে পারে। তবে এ অর্থ সহায়তা করোনাকালে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অংশ নয়।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ২০১৮ সালে মৎস্য অধিদফতর সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুদ নিরূপণ, সংরক্ষণ, সঠিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই আহরণ এবং উপকূলীয় প্রান্তিক জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’ গ্রহণ করে। প্রকল্পটি আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত চলবে। এ প্রকল্পে ১৮৭ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ১৬ জেলার ৭৫টি উপজেলার ৭৫০টি ইউনিয়ন। জেলাগুলো হলো- খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা। এসব জেলা ও উপজেলা মৎস্য অফিস ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে ৭৮ হাজার জনকে মনোনীত করা হয়েছে।
মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ বলেন, প্রণোদনার অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে পৌঁছে দিতে এরই মধ্যে সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য অপারেটরদের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি আগামী মাসে ক্ষতিগ্রস্তরা অর্থ সহায়তা পাবেন।