দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত: বিসিএসআইআর
নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। ভাইরাসের এ ধরনটি যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সঙ্গে মিল রয়েছে।
বিসিএসআইআরের জীবতাত্ত্বিক গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান বলেন, চলতি বছরের নভেম্বরের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের মিউটেশন মেলে। পাঁচটি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার সময় নতুন এই মিউটেশন নজরে আসে। আন্তর্জাতিকভাবে যেখানে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য জমা দেয়া হয়, সেখানে দেখেছি যে, রাশিয়া এবং পেরুতে এর আগে একই ধরনের মিউটেশন দেখা গেছে। তবে ওই দেশ দুটিতে শুধু একজন করে ব্যক্তির নমুনায় এই মিউটেশন পাওয়া গিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ইংল্যান্ডে এ ধরনের মিউটেশন ধরা পড়েছে যা আমাদের অনেক পরে শনাক্ত হয়। যুক্তরাজ্যে প্রাপ্ত নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে একটি মিউটেশন ঘটেছে, যাকে বলা হচ্ছে পি-৬৮১ এইচ মিউটেশন। বাংলাদেশে প্রাপ্ত মিউটেশনটি হলো পি-৬৮১-আর।
সেলিম খান বলেন, যুক্তরাজ্য আর বাংলাদেশের মিউটেশনের পজিশন এক। সেটাই শঙ্কার বিষয়। এ জন্য এখন আমাদের জিনোম সিকোয়েন্সের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য আরো মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে।
সেলিম খান বলেন, যে পাঁচটি নমুনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছি, সেগুলোর দাতাদের ঠিকানার ঘরে দুটিতে ঢাকা উত্তর এবং তিনটিতে শুধু ঢাকা লেখা ছিল। তারা সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন রেফারেল সেন্টারের কাছ থেকে ভাইরাসগুলোর নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। নমুনা সংগ্রহের সময় একটি নির্দিষ্ট কোড নম্বর নেয়া হয়। ওই কোড নম্বর ন্যাশনাল রেফারেল সেন্টারের সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। তাদের এই পাঁচজনের নাম-ঠিকানা এবং ফোন নম্বর সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। আশা করছি, দুইদিনের মধ্যে নমুনাদাতাদের খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অবশ্য নতুন ধরনের ভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত না হয়ে বিশ্ববাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।