শীতের এক ফ্যাশন শো
অনলাইন ডেস্ক:
১৯ ডিসেম্বর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের গার্ডেন অংশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করা হয় জুরহেমের ফ্যাশন শো।
পোশাকের নতুন সংগ্রহ আর দ্বিতীয় শাখার উদ্বোধন—দুই মিলিয়ে জমকালো এক ফ্যাশন শোর আয়োজন করেছিল ফ্যাশন হাউস জুরহেম। ১৯ ডিসেম্বর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের গার্ডেন অংশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করা হয় এই ফ্যাশন শোর। অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয় ফ্রেঞ্চ গার্ডেন থিমে। বিশেষ এই সজ্জায় শুধু সবুজ পাতার ব্যবহার করা হয়েছিল। আমন্ত্রিত অতিথিদের নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গেই দেওয়া হয়েছিল মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব মেনেই বসানো হয়েছিল অতিথিদের আসন।
শীতের এক ফ্যাশন শো
অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয় ফ্রেঞ্চ গার্ডেন থিমে। বিশেষ এই সজ্জায় শুধু সবুজ পাতার ব্যবহার করা হয়েছিল। আমন্ত্রিত অতিথিদের নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গেই দেওয়া হয়েছিল মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব মেনেই বসানো হয়েছিল অতিথিদের আসন।
ফ্যাশন শোর উপস্থাপনা করেন জুরহেমের চেয়ারম্যান সাদাত চৌধুরী। আজরা মাহমুদের কোরিওগ্রাফি আর মেহরুজ মুনিরের নকশা করা পোশাক গায়ে জড়িয়ে র্যাম্পে হাঁটেন ৪৩ জন নারী ও পুরুষ মডেল।
সাদাত চৌধুরী জানান, আনুষ্ঠানিক ও ক্যাজুয়াল পোশাকের পাশাপাশি এবার জুরহেমের সংগ্রহে রয়েছে লাউঞ্জ ওয়্যার ও ককটেল ওয়্যার। অর্থাৎ পোশাকগুলো তরুণ থেকে বয়স্ক—যেকোনো বয়সীদের জন্য। যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্যও মানানসই।
পোশাকের রং আর কাপড়ে ছিল বৈচিত্র্য। হালকা থেকে উজ্জ্বল—সব রংই প্রাধান্য পেয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে লিনেন, জর্জেট, সিল্কসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড়। শীতের পোশাকগুলোয় বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে অজগর সাপের চামড়া আর উন্নত উল। দেশের আবহাওয়ার কথা বিবেচনায় রেখে শীতের পোশাকগুলো বানানো হয়েছে হালকা ও মাঝারি পুরুত্বের।
সাদাত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সাধারণত বিদেশ থেকে কাপড় আমদানি করে দেশে এনে নিজস্ব ডিজাইনে পোশাক তৈরি করি। তবে এবার ডিজাইন নির্ধারণ করে ইতালিতে পাঠানো হয়েছিল। ইতালির কাপড় ব্যবহার করে সেখানকার কারখানায় সম্পূর্ণ পোশাক তৈরি করা হয়েছে। ফলে এবারের পোশাকে ইতালীয় কাট দেখা যাবে।’
এবারের মূল থিম ‘ইজি টু ওয়্যার’। অর্থাৎ পোশাকগুলো খুব সহজে ও স্বাছন্দ্যের সঙ্গে যেকোনো পরিবেশে পরিধানযোগ্য। চলমান মহামারির কারণে অনেকেই এখন বাড়িতে বসে অফিস করছেন। বিষয়টিকে মাথায় রেখে এবারের পোশাকগুলো কিছুটা ঢিলেঢালা ধাঁচেরও বানানো হয়েছে।