কতদিন ব্যবহারের পর পুরনো মাস্ক ফেলে দেবেন
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
মহামারি এই সময় মাস্কের বিকল্প যেন আর কিছুই হতে পারে না। ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার একমাত্র অবলম্বন হলো ফেসমাস্ক। এখb ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মাস্ক জরুরি।
তবে একটি মাস্ক ঠিক কতদিন ব্যবহার করা যায়? এই বিষয়টি সবার কাছেই অজানা। একই মাস্ক দীর্ঘদিন ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক মাস্ক ব্যবহারের সময়সীমা সম্পর্কে-
সব ধরনের মাস্ক ব্যবহারের একটি সময়সীমা আছে। এরপর সেই মাস্ক আর ব্যবহার না করাই ভালো। বাজারে সাধারণভাবে তিন ধরনের মাস্ক পাওয়া যায়, এসব মাস্কের আলাদা সময়সীমা আছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, যে কয়েকটি চিহ্ন দেখে বোঝা যায় কখন মাস্ক বদলানোর সময় এসেছে।
চিকিৎসকদের মতে, এন-৯৫ মাস্কই সবচেয়ে উপযোগী। যদি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই তিন লেয়ারের হতে হবে। মাস্ক যদি ঢিলে হয়, ছিঁড়ে যায়, ড্যাম্প হয় এবং মাস্ক পরলে যদি চশমার কাঁচ ঝাপসা হয়। তাহলে বুঝতে হবে মাস্ক বদলানোর সময় এসেছে।
মাস্ক যদি ঢিলে হয় বা ছিঁড়ে যায়, তাহলে সেই মাস্ক পরার কোনো উপকারিতা নেই। নাক-মুখ পুরোপুরি ঢেকে না রাখলেও মাস্ক কোনো কাজে লাগে না। নাক-মুখ ঢেকে না দিলে নিশ্বাস ৫০ শতাংশই ফিল্টার না হয়ে শরীরে প্রবেশ করে।
এছাড়া মাস্ক পরলে চশমার কাঁচ ঝাপসা হয়ে যায়, ফলে মাস্ক ছাড়াও আশপাশ দিয়ে বাতাস ঢুকছে। এ অবস্থায় মাস্ক বদলে ফেলুন। এন-৯৫ মাস্ক ছিঁড়ে গেলে বা ড্যাম্প হলে সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টে ফেলুন। আর সার্জিক্যাল মাস্ক ৪-৬ ঘণ্টার বেশি ব্যবহার না করাই উচিত।
মাস্ক কীভাবে ব্যবহার করবেন?
এর একটি নির্দেশনা দিয়েছে ভারতে এইমস হাসপাতাল। সেখানে বলা হয়েছে, মাসের শুরুতে ৫টি এন-৯৫ মাস্কের সেট রাখুন। প্রতিটি আলাদা আলাদাভাবে প্যাক করা থাকবে। প্রতিটি মাস্ককে ১ থেকে ৫ পর্যন্ত মার্ক করুন।
এরপর প্রথম দিন ১ নম্বর মাস্ক পরুন। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে মাস্কটি আবার প্যাকেটে ভরে রাখুন। পরদিন দ্বিতীয় মাস্কটি পরুন। এভাবে পঞ্চম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে নতুন মাস্ক পরুন। এরপর ষষ্ঠ দিনে ফের সেই ১ নম্বর মাস্কটি প্যাকেট থেকে বের করে পরুন।
এভাবে এক মাস পরে পাঁচটি মাস্কই ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে নতুন পাঁচটি মাস্কের সেট রাখুন। আপনার মাস্ক নিরাপদ থাকলে আপনিও নিরাপদ থাকবেন।