দূনীতির কাছে আপোষহীন পাটকেলঘাটা থানার ওসি-কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ যোগদানের পর দূর্নীতে আপোষহীন ও মানবিক পুলিশ হিসাবে যতেষ্ট সুপরিচিত হয়ে উঠেছেন জনসাধারনের মাঝে । জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে থানার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতি ও জনসাধারনের কল্যাণে দিনরাত নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি । তার সততা ও কর্মদক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য জনগনের কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল সকলের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছেন ইতিমধ্যে তিনি। দল-মত-নির্বিশেষে থানাবাসি ও থানা পুলিশের সদস্য নিয়ে চুরি ডাকাতি, ছিনতাই খুন ও মাদকমুক্ত করারর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি । তার এই কর্মদক্ষতার গুনে মানুষের আস্থার প্রতীক হিসাবে সুনাম কুড়িয়েছেন।
মানবিক কর্মঃ দেশের মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় থানার বিভিন্ন অঞ্চলে গনসচেতনতা মূলক কর্মকাণ্ড সহ রাতের আঁধারে অসহায় মানুষের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি । মানুষ সেবার ব্রত নিয়ে ছুটে চলার পথে তিনি নিজেও একসময় হয়ে পড়েন করোনা সংক্রমিত । অতপর সৃষ্টিকর্তার অশেস মেহেরবানিতে সুস্থ হয়ে আবারও ফিরে আসেন তিনি ।
ব্যাক্তিগত জীবনীঃ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ ১৯৭৭ সালে ময়মনসিংহ জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর নিজ জেলা ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করে তার শিক্ষাজীবন শেষ করেন ।
কর্মজীবন : তিনি ২০০১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সিআইডিতে সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয় । অল্পদিনে তার সততা, পরিশ্রম, সফলতা এবং নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িক্ত পালনের জন্য ২বার জাতিসংঘ মিশনে অংশগ্রহণ করেন । এরপর তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এসবি শাখায় ইন্সপেক্টর হিসেবে ঢাকায় কর্মরত হন ।
সর্বশেষ তিনি ২০১৯ সালে পাটকেলঘাটা থানায় ইন্সপেক্টর (ওসি)হিসাবে যোগদান করেন।
কর্মদক্ষতাঃ তিনি থানা এলাকায় যেকোন অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথে তাৎক্ষনিক প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন । ইতিমধ্যে তিনি থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া সকল অপরাধ কাজে জড়িতদের অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওয়তায় এনে কঠোর ব্যাবস্থা নিয়েছেন । থানায় দালাল মুক্ত ঘোষণা করার কারণে এক স্বার্থন্বেষী মহলও কিছু অসাধু চক্র তার সুনাম নষ্ট করার মারিয়া হয়ে উঠেছেন।
এক সাক্ষাৎকারে ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ বলেন, কর্মজীবনে আমাকে কোনদিন দূর্নীতি স্পর্শ করতে পারিনি। আমার কাছে সেবা নিতে আসা মানুষের পাশে সবসময় দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। জীবনে অর্থকে নয় মানবসেবাটাই বড় করে দেখেছি। সবশেষে তিনি বলেন, সমাজের সকল অপরাধ এবং অপরাধী বিরুদ্ধে রয়েছে আমার কঠোর অবস্তান । এজন্য পুলিশের কাজে সহযোগিতার জন্য জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে তাহলে সমাজ থেকে অপরাধ নির্মুল করা সম্ভব হবে । পুলিশ জনগনের বন্ধু আর সেবাই পুলিশের ধর্ম।